মিড-ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট বিজেপি পার্টি অফিসে তৈরি, দাবি শিক্ষামন্ত্রীর

0
4

বাংলায় মিড-ডে মিলে “১০০ কোটি কারচুরি!” কেন্দ্রের এমন রিপোর্ট নিয়ে দিনভর বাজার গরম করছে বিজেপি নেতারা। এবার গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, “কেন্দ্রের এই রিপোর্ট বিজেপির রাজ্য দফতরে বসেও লেখা হতে পারে”! আসলে বাংলাকে বদনাম করতেই বিজেপির তৈরি চিত্রনাট্য! যার রূপকার দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বাংলায় মিড-ডে মিলেও নাকি দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সম্প্রতি কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনা মিশন। এই প্রকল্পের পোশাকি নাম, “পিএম পোষণ”।

গত ২৪ মার্চ রিপোর্ট জমা দেয় যৌথ পর্যালোচনা মিশন। রিপোর্টে উল্লেখ, রাজ্য সরকার জানিয়ে ছিল বিভিন্ন স্তরে স্কুলে এনরোল করা পড়ুয়াদের গড়ে ৯৫ শতাংশকে মিড ডে মিল দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, স্কুলগুলিতে মাত্র ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ পড়ুয়া প্রতি বছরে এই মিড ডে মিল নেয়। শুধু তাই নয়, প্রায় ১৫ কোটি মিল বেশি সার্ভ করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে! আর তাতেই খরচ হয়ে গিয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি!

এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আজ, বুধবার বিকাশভবনে সাংবাদিক বৈক করে কেন্দ্র ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে নিশানা করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিল নিয়ে অসহযোগিতা করছে। রিপোর্ট আমাদের না পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ দেওয়া হয়েছে। এই টিমটাকে কেন্দ্র টিম বলে মনে হচ্ছে না, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল”।

তাঁর আরও দাবি, “গণমাধ্যমে একটি ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আসলে ওরা ত্রুটি পাননি, ত্রুটি খুঁজতে এসেছিলেন। প্রথমে সবই ভালো লেগেছিল, কিন্তু সেটা বিজেপি নেতাদের পছন্দ হয়নি। বাংলাকে বদনাম করতে এই রিপোর্ট বিজেপি পার্টি অফিসে বসেও লেখা হয়ে থাকতে পারে।”

আরও পড়ুন- মিড ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট পূর্ব পরিকল্পিত! বিজেপির ‘কুৎসাপত্র’ কটাক্ষ কুণালের