আদানি কাণ্ডে জেপিসি তদন্তের দাবিতে সরব কংগ্রেস(Congress)। তবে এই ইস্যুতেই এবার উলটোসুর গাইলেন মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এনসিপি(NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার(Sharad Pawar)। তাঁর দাবি, হিন্ডেনবার্গের(Hindenbarg report) তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদানিদের নিশানা করতেই এইধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পাওয়ারের এহেন মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ল জোটে।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি শরদ পাওয়ার বলেন, “আমরা ওই রিপোর্টটাকে (হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট) একটু বেশিই গুরুত্ব দিচ্ছি। ওদের কথা আগে কখনও শুনিনি। এই ধরনের সংস্থাগুলি মাঝে মাঝে এই ধরনের কথা বলে। বোঝাই যাচ্ছে দেশের একটি শিল্পগোষ্ঠীকে এখানে নিশানা করা হচ্ছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে। এই রিপোর্টকে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” শুধু তাই নয় কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি যে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবি জানিয়েছে, সেটাও খারিজ করে দিয়েছেন পওয়ার। তিনি সাফ বলে দিচ্ছেন, “সুপ্রিম কোর্ট আদানি ইস্যুতে যে কমিটি গড়েছে, আমার মনে হয় সেটাই যথেষ্ট যোগ্য। যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়লে একটাই সুবিধা। ওই কমিটি কী করছে না করছে, সেগুলি সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট করা হয়। আর কোনও কাজের কাজ হয় না।”
বলার অপেক্ষা রাখে না শরদ পাওয়ারের এহেন মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে বিরোধীদের কোনও আন্দোলনে যোগ দেয়নি এনসিপি। অবশ্য এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের বক্তব্য, শরদ পাওয়ারের হয়তো ব্যক্তিগত কোনও মতামত থাকতে পারে। কিন্তু আমরা ১৯টি বিরোধী দল একত্রিত। এবং আমরা আমাদের দাবিতে স্থির। পাশাপাশি কংগ্রেস সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, পাওয়ারের সঙ্গে আদানিদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল। এমনকী ক’দিন আগেও গুজরাটে আদানিদের অতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন পাওয়ার। ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই আদানি বিরোধিতা করছেন না পাওয়ার।










































































































































