সুষ্ঠুভাবে হনুমান জয়ন্তী পালনে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। মানা হচ্ছে হাই কোর্টের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার, সকাল থেকে মহানগরে বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। পরিস্থিতি দেখে খুশি তিনি।

সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে সরাসরি লেকটাউনের (Laketown) হনুমান মন্দিরে যান রাজ্যপাল। সেখানে পুজো দেন। বেরিয়ে বলেন, “যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। সারা বিশ্বে সৌভ্রাতৃত্ববোধ, উদারমনস্কতার জন্য় পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ।” সেই রীতি রাখার বার্তা দেন তিনি। সেখান থেকে আনন্দ বোস সরাসরি একবালপুরে যান। কিন্তু কোনও নিরাপত্তার বেড়াজাল না মেনে সরাসরি সাধারণ মানুষের মধ্যে গিয়ে কথা বলেন রাজ্যপাল। হাত মেলান। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের (Police) সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নেন আনন্দ বোস।
সেখান থেকে রাজ্যপাল পৌঁছন পোস্তায়। সরাসরি কথা বলেন বাসিন্দাদের সঙ্গে। জেনে নেন কতটা নিরাপদবোধ করছেন তাঁরা! এরপর নজিরবিহীনভাবে রাস্তার ধারের একটি দোকান থেকে ছাতুর সরবত নিয়ে চুমুক দেন সিভি আনন্দ বোস। দাম মেটান বিক্রেতাকে। পোস্তার এক হনুমান মন্দির দর্শন করেন তিনি। সাংবাদিকদরে মুখোমুখি হয়ে বলেন, “নতুন বছরে শান্তি ও সম্প্রীতির নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলা। আসল কথা, ঈশ্বর-আল্লা তেরো নাম, সবকো সম্মতি দে ভগবান। ঝান্ডা উঁচা রহে হামারা।“
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) এইভাবে বহুভার দেখেছেন মানুষ। রাস্তার পাশের ছোট চায়ের দোকানে গিয়ে চা বানানো বা পাহাড়ি রাস্তায় মোমো তৈরি- সব সময় স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে নিবীড় জনসংযোগে জোর দেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। কিন্তু বাংলার কোনও রাজ্যপালকে এভাবে রাজপথে নেমে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যেতে করে দেখা গিয়েছে- তা মনে করতে পারছেন না কেউই।

কড়া নিরাপত্তার মধ্য়ে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে হনুমান জয়ন্তী। কলকাতা-সহ রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে। জোড়াবাগান, গার্ডেনরিচ, চারু মার্কেট, একবালপুর, হেস্টিংস-সহ ৬ জায়গায় টহল দিচ্ছে আধাসেনা। রয়েছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে রুট মার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট রাজ্যপাল।









































































































































