রামনবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়ার (Howrah), রিষড়ায় সহ রাজ্যের। বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের শাসক দলের তরফে সবক্ষেত্রেই অভিযোগের তির গিয়েছে বিজেপির দিকে। হাওড়াকাণ্ডে কড়া হাতে অশান্তির মোকাবিলা করেছে পুলিশ প্রশাসন। হাওড়াকাণ্ডে একাধিক গ্রে*ফতারের ঘটনাও ঘটেছে। ধৃতদের প্রত্যেকের বিজেপি যোগ স্পষ্ট। এই অশান্তির আবহতেই এবার হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)পালনের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Biswa Hindu Parisada)সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। যা নিয়ে বাংলার বুকে নতুন করে অশনি সঙ্কেত তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রামনবমীর মতো যেন হনুমান জয়ন্তীতে কোনও অশা*ন্তি না হয়। অশা*ন্তি পাকালে তা বরদাস্ত করা হবে না। মিছিল, শোভাযাত্রা করার অধিকার নিশ্চয় আছে, কিন্তু তাকে সামনে রেখে দা*ঙ্গা করার অধিকার কারও নেই।

আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী। পরের দিনই আবার গুড ফ্রাই ডে। সেদিন আবার পবিত্র রমজানের একটি জুম্মা বার। ফলে একটা অশান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ, হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে অশান্তি হলে দায় সেই শোভাযাত্রার আয়োজকদের।

হাওড়া ও হুগলিতে রামনবমীতে হওয়া মিছিলে অশান্তির ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বুধবার ওই জনস্বার্থ মামলায় হনুমান জয়ন্তী নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেয় আদালত। প্রয়োজন হলে হনুমান জয়ন্তী পালনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতেও বলা হয়েছে রাজ্যকে। আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নেতা-মন্ত্রী বা সাধারণ মানুষ জনসমক্ষে কোনওরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে পারবেন না। যারা হনুমান জয়ন্তীর মিছিল পালন করবেন, তাঁদের মুচলেকা দিয়ে বলতে হবে কোনও অশান্তি হলে সেই সংগঠন বা মিছিল আয়োজকরা দায়ী থাকবেন বলেও জানিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের রুট ঠিক করবে পুলিশ। যেসব জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি আছে সেখানে কোনওরকম মিছিল করা যাবে না। মিছিলে কত সংখ্যক মানুষ থাকবেন সেই অনুমতিও দেবে পুলিশ।





































































































































