সামনে কর্নাটকে(Karnataka) বিধানসভা নির্বাচন। আর নির্বাচন সামনে এলেই জনদরদী হয়ে ওঠে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সেই অঙ্কে ফের একবার সামনে এলো মোদি সরকার। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে স্বল্প সঞ্চয় সুদের হার বাড়ালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitaraman)। প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা সবেতেই বাড়ল সুদ। তবে এই তালিকা থেকে বাদ গেল পিপিএফ বা প্রভিডেন্ট ফান্ড।
বর্তমান নিমুন অনুযায়ী ফিক্সড ডিপোজিট থেকে এমএসআর সবেতেই সুদ বাবদ একাউন্টে যে টাকা জমা পড়ে তার ওপর দিতে হয় আয়কর। তবে এই নিয়মের বাইরে থাকে শুধুমাত্র পিপিএফ। স্বল্প সঞ্চয়ের এই সুদের ওপর কোন আয়কর চাপানো হয় না। এই স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে ১ এপ্রিল থেকে নতুন যে সুদের হার চালু হচ্ছে তার মেয়াদ থাকবে তিন মাস। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিকদের সঞ্চয় প্রকল্পের সুদ বেড়ে হয়েছে বার্ষিক ৮.২ শতাংশ। বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী, আজ থেকেই এই স্কিমে টাকা রাখার সীমা ১৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করা হচ্ছে। অন্যদিকে এমআইএসের সুদও ৭.১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৪ শতাংশ করা হয়েছে। এই স্কিমে কোনও ব্যক্তি এতদিন সর্বাধিক ৪.৫ লক্ষ টাকা রাখতে পারতেন। সেই সীমা বেড়ে হচ্ছে ৯ লক্ষ টাকা। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে যেখানে সর্বাধিক ৯ লক্ষ টাকা রাখা যেত, তা বেড়ে হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকা। সুদের নয়া হারে কিষান বিকাশপত্রে টাকা দ্বিগুণ হবে ১১৫ মাসে। তা এতদিন ছিল ১২০ মাস।
সবকিছুর মাঝে এবার উল্লেখযোগ্যভাবে সুদের হার বেড়েছে এনএসসিতে(ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট)। পাঁচ বছরের মেয়াদী এই স্কিমে সুদ মিলবে ৭.৭ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্পটিতে আগ্রহ থাকবে সাধারণ গ্রাহকের। তবে অনেকেই বলছেন, এই স্কিম সহ বেশ কয়েকটি তুলনামূলক স্বল্পমেয়াদী প্রকল্প কেনায় আয়কর ছাড় মিললেও, মেয়াদ শেষে সুদের উপর কর মেটাতে হবে। তখন রাজকোষ ভরাতে এই স্কিমকেই হাতিয়ার করবে কেন্দ্র।