এদিকে খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পাঞ্জাব পুলিশ। জারি হয়েছে লুকআউট নোটিশ। অন্যদিকে, ফের লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন খলিস্তানপন্থীরা। গত তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার। তবে পুলিশ তৎপর থাকায় বুধবার জড়ো হওয়া খলিস্তানপন্থী জনতা সোমবারের মতো হাইকমিশনের দফতরে ঢুকে ভাঙচুর বা জাতীয় পতাকার অবমাননা করতে পারেনি।

আরও পড়ুন:বি*ধ্বংসী আগুনে ছাই শোভাবাজারে ফ্যামিলি স্পা

বুধবার সকালে আচমকাই মধ্য লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে নিরাপত্তা বাড়ায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা হয় ভবনের চারদিক। প্রাথমিক ভাবে ভাবা হয়েছিল, নয়াদিল্লির ‘কড়া বার্তা’ পাওয়ার পরে রুটিন সতর্কতা বাড়িয়েছে ঋষি সুনকের সরকার।
প্রায় হাজার দুয়েক খলিস্তানপন্থী জমায়েত হন ‘ইন্ডিয়া হাউস’-এর সামনে। স্লোগান ওঠে ‘উই ওয়ান্ট খলিস্তান’, ‘খলিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘ফ্রি অমৃতপাল’! ভারতীয় হাই কমিশন লক্ষ্য করে কালির বোতল, জলের বোতল, পাথরের টুকরোও ছোড়েন পঞ্জাবের ‘দ্বিতীয় ভিন্দ্রানওয়ালে’ অমৃতপালের অনুগামীরা। তবে পুলিশ সতর্ক থাকায় তাঁরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি।


সোমবার দুপুরে ইন্ডিয়া হাউসের উপর থেকে জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে খলিস্তানি পতাকা উড়িয়ে দিয়েছিল অমৃতপালের সংগঠন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র সমর্থকেরা। এর পরেই ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ক্রিস্টিনা স্কটকে তলব করে সতর্ক করেছিল বিদেশ মন্ত্রক। এর পর বুধবার সকালে দিল্লির ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে নিরপত্তা ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়। সুনক সরকারকে ‘বার্তা’ দিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল বলে সরকারের এই সূত্রের খবর। কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, কয়েক ঘণ্টা পরে সেই ‘বার্তা’র প্রতিফলন দেখা গেল লন্ডন পুলিশের তৎপরতায়।








































































































































