পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের কাছেই একটি শপিং কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ন’টার দিকে গ্র্যান্ড রোডের মারিচিকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের এক তলায় একটি পোশাকের দোকানে আচমকাই আগুন লেগে যায়। আর মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন অন্যান্য দোকানগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, শপিং কমপ্লেক্সে মোট ৪০টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে সবকটিই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডের সময় শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে একাধিক মানুষ আটকে পড়েছিল। তাঁদের অচেতন অবস্থায় দমকল কর্মীরা উদ্ধার (Rescue) করে নীচে নামিয়ে আনেন। এরপর স্থানীয় জেলা হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করানো হয়। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বর্তমানে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বর্তমানে ১২টি দমকলের ইঞ্জিন ও ১৬০ দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি।

শপিং কমপ্লেক্সটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের একেবারে কাছেই অবস্থিত। যার এক তলায় রয়েছে একটি হোটেলও। আগুন লাগার পর দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই হোটেল থেকে ১০৬ জন পর্যটককে উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, তাঁরা সবাই মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা। পুরীতে ঘুরতে এসেছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুরোপুরি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ প্রথম আগুন লাগে গ্র্যান্ড রোডের মারিচিকোট চকের লক্ষ্মী মারকেট কমপ্লেক্সের একটি জামা কাপড়ের দোকানে। সেখান থেকই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজার চত্বর লাগোয়া দোকানগুলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ৪০টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যেসময় আগুন লাগে সেসময় পুরীর মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে হাজির ছিলেন বহু পর্যটক। তাঁদের দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজার সংলগ্ন হোটেলগুলি থেকেও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পর্যটকদের।

তবে দমকল বাহিনী সূত্রে খবর, ওই বাজার চত্বরে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডারও মজুত করা ছিল। সেই সব সিলিন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতেই পারত।










































































































































