উষ্ণতম দোল কাটিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা বাঙালির। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এত তীব্র গরমে রীতিমতো অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশার (Fog) আমেজ থাকলেও বেলা বাড়তে না বাড়তেই বাড়ছে রোদের তেজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফ্যানের ব্লেড ঘুরতে শুরু করেছে, দুপুরে চলছে এসি (AC)। তার মাঝেই সুখবরের পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার থেকেই আবহাওয়ার বদল, শুক্র এবং শনিতে ঝেঁপে বৃষ্টির (Rain) কথা বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)।

বৃষ্টি আসছে বঙ্গে, মাঝে আর মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা। ১০ মার্চ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ার বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১১ ও ১২ মার্চ এই পাঁচ জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় সকাল থেকেই চড়ছে পারদ। দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে গ্রীষ্মকালীন দাবদাহ সহ্য করতে হবে বঙ্গবাসীকে, অন্তত এমনটাই মনে করছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। দোলে তাপমাত্রার পারদ ছিল উর্ধ্বমুখী।


কিন্তু, উৎসবের রেশ মিটতে না মিটতেই ফের দক্ষিণবঙ্গের হাওয়া বদলের সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে উত্তরের সমতলে বাকি আর কোনও জেলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও সেভাবে বৃষ্টি হবে না কিন্তু উত্তরের বৃষ্টির জেরে কিছুটা হলেও গরমের দাবদাহ কমার আশায় বঙ্গবাসী।





































































































































