‘সুপারি কিলারের’ মতো আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। কমিশনের ভূমিকা এখন শাসকের পায়ের মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ। ঠিক এই ভাষাতেই এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে কড়া আক্রমণ শানাল শিবসেনা মুখপাত্র ‘সামনা'(Saamna)। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত সুপ্রিম রায় দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সম্প্রতি শিবসেনার(Shivsena) অধিকার উদ্ধব শিবিরের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে একনাথ শিন্ডেদের দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গেই শনিবার শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনাতে’ কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে লেখা হয়, “৪০ জন বিধায়কের চলে যাওয়ায় শিবসেনার প্রতীক বিশ্বাসঘাতকদের পকেটে দিয়ে দেওয়াটা অন্যায়।” পাশাপাশি সামনাইয় আরও লেখা হয়েছে, “দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু নির্বোধ নির্বাচনী প্যানেল দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে ‘বস’-এর অনুগ্রহে থেকে একজন সুপারি কিলারের মত কাজ করা যায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে সবকিছু পরিষ্কার। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সরকার বিতর্কিত ব্যক্তিদেরই এই প্যানেলে নিয়োগ করে যাতে তাঁদের দিয়ে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করানো যায়।”
একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে ‘সামনা’তে। লেখা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে কসবা পেথ ও চিঁচড় কেন্দ্রে নির্বাচনে নিজেদের গোটা ক্যাবিনেটকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শীর্ষ বিজেপি নেতারা কেউই এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। অর্থবল, লোকবল সব ব্যবহার করা হয়েছে। বিপুল পরিমান টাকা ছড়ানো হয়েছে। সব দেখার পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন। কারণ তাঁরা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারের বেতনভুক কর্মী। এই আবহে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জঞ্জ্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।










































































































































