মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমলে রাজ্যে নারী ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্ক প্রসূত প্রকল্প কন্যাশ্রী পুরস্কৃত হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nation)। আর সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার (Kolkata) বুকে লুকিয়ে চলছিল ভ্রুণ নির্ণয়। সন্দেহ হওয়ায় বেহালার ওই ডায়গোনেস্টিক সেন্টারে (Diagnostic Centre) হানা দেয় স্বাস্থ্য দফতর। মেলে তথ্য। অভিযোগে কেন্দ্রটির লাইসেন্স বতিল করে সিল করা হয়েছে।
মহানগরীতে শিশুপুত্রের থেকে কন্যা সন্তানের জন্মের হার কমছে। বেশ কিছু সময় ধরেই এই পরিসংখ্যান চিন্তার ভাঁজ পড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কপাল। গোপলে ভ্রুনের লিঙ্গ নির্ধারণ এবং কন্যা ভ্রুন হত্যা হচ্ছে বলে সন্দেহ হয়। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বেহালার (Behala) ব্লাইন্ড স্কুল এর কাছে এক বা রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের হদিশ মেলে। অভিযোগ, সেখানে ছিল লাইসেন্স ছাড়া ইউ এস জি মেশিন। এই রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের (Interrogation) পরে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ডায়গোনেস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স বতিল করে সেটি বন্ধ করে দেন।
স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রের খবর, বেহালার বনমালী ঘোষাল লেনের ওই ডায়গোনেস্টিক সেন্টারে ভ্রুনের লিঙ্গ নির্ধারণের সতর্ক বার্তা লেখা সরকারি নির্দেশনামা ছিল না। দুটি ইউ এস জি মেশিন ছিল। সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মেশিনটি বন্ধ রেখে, লাইসেন্স বিহীন ইউএসজি মেশিনটি চালু করে রাখা হয়। ওই ইউ এস জি মেশিন প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, মেশিনটি তারা ওই সেন্টারে ইনস্টল করেনি। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পরীক্ষার কোনও রেকর্ডও ছিল না মেশিনে। বিভিন্ন বেনিয়ম দেখার পরে কলকাতা জেলার নোডাল অফিসার এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ওই সেন্টারটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।










































































































































