দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের(Congress) দায়িত্ব সামলানোর পর দলের নতুন সভাপতির দায়িত্বে এসেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun Kharge)। এহেন পরিস্থিতির মাঝে এবার কি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চলেছেন একদা কংগ্রেস হাইকম্যান্ড? এই জল্পনাই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে উস্কে উঠেছে সোনিয়ার মন্তব্যে। শনিবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির(Working Commitee) বৈঠকে সোনিয়া জানালেন, ভারত জোড়ো যাত্রাই(Bharat Jodo Yatra) তাঁর শেষ কর্মসূচি।

শুক্রবার থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশন। তিন দিনের এই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে সম্মান জানিয়ে একটি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয়। আবেগঘন এই তথ্যচিত্রে সোনিয়ার ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ছবি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমেই আমার যাত্রা শেষ হতে পারে। এই যাত্রা শেষই আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত করবে।” তাঁর মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়। মনে করা হচ্ছে, এবার রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন সোনিয়া। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি সম্ভবত আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন না। যদিও কংগ্রেসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র মিছিল দিল্লিতে পৌঁছলে তাতে অংশ নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তখন ছেলে রাহুল ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পদযাত্রায় হাঁটতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শনিবার সেই প্রসঙ্গ তুলে সোনিয়া বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রা ছিল দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এদেশের জনগণ যে সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও সাম্য চান, এই কর্মসূচিতে সেটা দিনের আলোর মতো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” এছাড়াও বিজেপি ও আরএসএস-এর কড়া সমালোচনা করে সোনিয়া আরও বলেন, “দেশ ঘৃণার আগুন ছড়াচ্ছে বিজেপি আর RSS। ক্ষমতার লোভে বিভাজনের রাজনীতি করছে পদ্ম-শিবির। ভারতীয় গণতন্ত্রের কাঠামোগুলিকে ধ্বংস করা হচ্ছে।”









































































































































