গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিল বহাল, বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

0
9

স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরানোর যে নির্দেশ হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, সেই নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হচ্ছেই। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।যদিও একক বেঞ্চের সম্পূর্ণ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি।

বুধবারই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ– ডি কর্মীদের একাংশ। তাদের বক্তব্য ছিল,

“পাঁচ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ?” তাদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বুধবার বলেন, তাঁরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রমও দিয়েছেন। তা হলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?  সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন।

সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৮২৩ টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯১১ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে কর্মরত। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা হয়েছে। তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।  হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ। চার জনকে শনাক্ত করা যায়নি। নাইসার রেকর্ডে থাকা ২৮২৩ ওএমআর শিটের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’  এরপর বিচারপতির কলমের খোঁচায় ১০ মিনিটের মধ্যে চাকরি গিয়েছে তাঁদেরই।