অবশেষে জল্পনায় সিলমোহর। রাজভবন থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty) সরানো হল। পর্যটন দফতরের প্রধান সচিবের পদে গেলেন নন্দিনী। তবে, রাজ্যপালের প্রধান সচিবের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে এখনও করা হয়নি।
শনিবার সকালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের পর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়। রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনীকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কানাঘুষো চলছিল। সূত্রের খবর, নবান্নকে (Nabanna) এই বিষয়ে বার্তা পাঠিয়েই দিল্লি চলে গিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার রাজ্যপাল কলকাতায় ফেরার পরেই বুধবারই নন্দিনীর বদলি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন।
এটা প্রশাসনিক বিষয়। সুতরাং এই বিষয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি শাসকদল তৃণমূল (TMC)। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “প্রশাসনিক বিষয়, সেভাবে কিছু বলব না। অনায্য আবদার হলেও সৌজন্য দেখিয়েছে রাজ্য। তবে, মহিলা সচিবকে অপমানজনকভাবে সরানো রাজ্যপালের কাছে কাম্য নয়। নন্দিনী একজন দক্ষ আমলা। খবর শোনা যাচ্ছে, রাজ্যপাল রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আমলা এনে উপদেষ্টামণ্ডলি করছেন। আর তাতে পদ্ধতিগত আপত্তি তোলার কারণেই নন্দিনীকে সরাতে চেয়েছে রাজভবন। এই কথা সত্যি হলে, সেটা অনভিপ্রেত ঘটনা।“ তবে প্রশাসনিক বিষয়ে দল কোনও মন্তব্য করবে না বলে জানান কুণাল।
১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী। রাজ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন চিনি। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে নন্দিনী শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিবের মতো গুরুদায়িত্ব একসঙ্গে সামলান। এরপরে তাঁকে পাঠানো হয় স্টেট গেজেটিয়ারের এডিটর পদে। সেখান থেকে সুন্দরবন উন্নয়নে। তার পরে প্রেসিডেন্সি ডিভিশনে। সেখান থেকে রাজভবনে রাজ্যপালের প্রধান সচিব। এবার পর্যটন দফতরে গেলেন নন্দিনী।
আরও পড়ুন:মোদি সরকারের ভুল আর্থিক নীতিতে ভুগছে বাংলার মানুষ, কেন্দ্রের সমালোচনায় চন্দ্রিমা