চিনে দাপট দেখালেও কীভাবে কোভি*ডের তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পেল ভারত?

0
2

চিনে কোভিড (Covid) ঝড় দাপট দেখালেও ভারতে বাড়েনি সংক্রমণ। চিনে (China) প্রাণ হারিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। কিন্তু সেদিক থেকে দেখলে দেখা যাবে ভারত একেবারেই সুরক্ষিত। আশঙ্কা থাকলেও নতুন করে কোভিডের ঢেউ আর ভারতে আসেনি। তবে চিনের পরিস্থিতি দেখে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। চিনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখে গুঞ্জন শুরু হয় কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এদেশেও আসতে পারে। কিন্তু ভারতে সংক্রমণের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি।

তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনে কোভিড দাপট দেখা দিলেও ভারতে ভয়ের কিছু নেই। চিনের মতো পরিস্থিতি ভারতে কখনোই তৈরি হবে না।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে সংক্রমণ এড়ানো গেল?

• ভারতীদের মধ্যে হাইব্রিড ইমিউনিটি (Hybrid Immunity) বা মিশ্র রোগ প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে যা কোভিডের যে কোনও প্রজাতিকে কড়া হাতে প্রতিরোধে সক্ষম।
• ভারতে টিকাকরণও (Vaccination) খুব ভাল ভাবে হয়েছে।
• অ্যান্টিবডি তৈরির কারণে মানুষজনের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়েছে কয়েকগুণ।
• তবে চিনে কোভিড টিকাকরণ সেভাবে হয়নি। কিন্তু ভারতের ভ্যাকসিন অনেক বেশি কার্যকরী হয়েছে। এমনকি বুস্টারও চালু হয়ে গেছিল এ বছরের গোড়া থেকেই।
• কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড দিয়ে শুরু করে পরে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি সহ একগুচ্ছ বিদেশি ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছে ভারতে।
• ভারতে লকডাউন (Lockdown) ওঠার পরেই সব কিছু সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয় সরকার। এর ফলে বিভিন্ন সময়ে করোনার নানা প্রজাতির মুখোমুখি হতে হয়েছে মানুষজনকে। সেই সঙ্গে টিকাকরণ চলেছে।
• একদিকে যেমন ভারতীয়রা করোনার বিভিন্ন প্রজাতির বিরুদ্ধে নিজস্ব প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে, তেমনই ভ্যাকসিনের কারণেও সেই প্রতিরোধ শক্তি আরও বেড়েছে।

উল্লেখ্য, ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়ান্ট বিএফ.৭-এর জন্যই চিনে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ওমিক্রনের এই প্রজাতি চিনে নতুন হলেও, ভারতে নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনের ঢেউ আগেই দেখে নিয়েছে ভারতবাসী। গত বছর ডিসেম্বরেই ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল এ দেশে। বহু মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে সেরেও উঠেছিলেন।