বছরের প্রথম দিনে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার(Accedent) সাক্ষি থেকেছে রাজধানী দিল্লি(Delhi)। স্কুটির সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা ও তারপর স্কুটি থেকে পড়ে যাওয়া তরুণীকে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১২ কিলোমিটার। ভয়াবহ এই ঘটনায় এবার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রিপোর্ট তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)।

রবিবার ভোরে ওই তরুণীর স্কুটিতে যে গাড়ি ধাক্কা মারে তাতে চালক সহ পাঁচ জনই মদ্যপ ছিল। স্কুটিতে ছিলেন দু’জন তরুণী। গাড়ির ধাক্কায় একজন পড়ে যান গাড়ির সামনে। তাঁর পা আটকে যায় গাড়িতে। ওই অবস্থাতেই মেয়েটিকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার নিয়ে যায় সেই গাড়ি। পরে তরুণী ছিন্নভিন্ন নগ্ন দেহ গাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাকে ‘বিরলতম’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে রিপোর্ট তলব করেছেন শাহ। তদন্ত প্রক্রিয়ায় একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। তদন্তকারীরা বলছেন, বান্ধবীকে গাড়ির সামনে পড়ে যেতে দেখেও বাঁচানোর চেষ্টা করেনি অন্য মেয়েটি। সে ভয়ে বান্ধবীকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্তে নিহত তরুণীর মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অভিযোগ, স্কুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরেও ওই তরুণীকে কোনও রকম সাহায্য না করেই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দুর্ঘটনার কারণ নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
এদিকে জানা গিয়েছে মৃত তরুণীর নাম অঞ্জলি। সে বিহারের বাসিন্দা ছিল। কয়েক বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন। পরিবারে রয়েছেন মা, চার বোন ও দুই ভাই। ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনিই। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনিই। তদন্তে জানা গিয়েছে, যে গাড়িটি স্কুটিতে ধাক্কা মারে সেটি ছিল মারুতি সুজুকি। গাড়িতে থাকা ৫ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত।











































































































































