সমবায় সমিতির নির্বাচনকে (Co Operative Society Election) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নওদা ব্লক (Naoda Block)। বৃহস্পতিবার চাঁদপুর (Chandpur) কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তবে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের চাঁদপুর সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। আর ভোট শুরুর আগেই শুরু হয় অশান্তি। পাটিকাবাড়ি হাইস্কুলের সামনে তুমল উত্তেজনা তৈরি হয়।
এদিকে গুলি চলার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ভোটারদের মধ্যে। প্রাণের ভয়ে দৌড়দৌড়ি শুরু করেন ভোটাররা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁদপুর সমবায় সমিতিতে মোট ন’টি আসনে মোট ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই সমবায়ে সব মিলিয়ে মোট ৯০০ জন ভোটার রয়েছেন। তৃণমূল (TMC) ছাড়াও আরএসপি (RSP), কংগ্রেস (Congress), সিপিএম (CPIM) ও বিজেপি (BJP) এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীদের হার নিশ্চিত জেনেই এসব করছে। প্রার্থী ও এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। ভোটারদের আতঙ্কিত করতে শূন্যে চালানো হয় গুলি। পাশাপাশি সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তাঁদেরও মারধর ও হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে (Hospitalized) ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনায় রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) বলেন, তৃণমূল (TMC) মানুষের ভোটে জেতে। তাই আলাদা করে গোলাগুলি চালানোর প্রয়োজন হয় না। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, বিরোধীরা চায় এটা হোক। অশান্তি করে তৃণমূলের দিকে তাঁরা আঙুল তুলতে চায়। তবে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।