প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝে সীমান্তে যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করতে শুরু করেছে লালফৌজ। ইতিমধ্যেই উপগ্রহ চিত্রে প্রকাশ্যে এসেছে সেই ছবি। তবে পিছিয়ে নেই ভারতীয় সেনাও। ভারতীয় সেনাও প্রলয় হাতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LOC) চিনা ফৌজের সঙ্গে সংঘাতের আবহে আগামী কিছুদিনের মধ্যে্ ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile) প্রলয় সেনার হাতে আসছে।

২০২১ সালে প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষা সফল হয়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থার দ্বারা। তথ্য অনুযায়ী দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহারে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বীর আদলে তৈরি ‘প্রলয়’। তুলনায় হালকা ব্যালিস্টিক মিশাইল। মাঝ আকাশে গতিপথ বদলাতে সক্ষম। ফলে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে প্রলয়। মনে করা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী দুর্গম প্রাকৃতিক অঞ্চলে ভারতীয় সেনার কার্যকরী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে প্রলয়।
এদিকে তাওয়াং সংঘর্ষের পরেই সীমান্ত এলাকায় মহড়া শুরু করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপরই ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করতে শুরু করেছে চিন। দু’টি ফ্ল্যাঙ্কার ফাইটার জেটও মোতায়েন করা হয়েছে চিনের বাংদা এয়ারবেসে। ভারতে হামলা চালানোর জন্য তিব্বতের মাটিতে বিশেষ মহড়া চালাচ্ছে লালফৌজ। প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট উচ্চতায় এই মহড়া চালানো হয়েছে, যেন অরুণাচলের পার্বত্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে সেনা। উলটো দিকে দ্রুত সেনার হাতে ‘প্রলয়’ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।











































































































































