হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার(RajShekher Mantha) বিরুদ্ধে লেক থাকায় গুরুতর অভিযোগ দায়ের করলেন যাদবপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ সেন। বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিলাসবহুল বাড়ি দখল করে রয়েছেন মান্থা। প্রাপ্য টাকা চাওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছেন তাঁকে। অভিজিতের সেনের(Abhijit Sen) আরও অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে ফোনে হুমকি ও অশ্রাব্য মন্তব্য করেছেন মান্থা। একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

লেক থানায় অভিজিৎ সেনের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ২৭২০ স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাট, দুটি কার পার্কিং স্পেস এবং একটি স্টোর রুম কেনান বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। শুরুতে তিনি এই টাকা ঠিকঠাক পরিশোধ করলেও, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মান্থা একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিজিৎ সেনের বিরুদ্ধে। পুলিশ এরপর গ্রেফতার করেন অভিজিৎকে। প্রায় ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর জামিন পান অভিজিৎ। নির্যাতিত ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রাজশেখর মান্থা করেছিলেন তা সর্বৈব মিথ্যা। এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁকে জেল বন্দি করা হয়। সংবাদপত্রে তাঁর জেলবন্দী হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর সামাজিক সম্মানহানি হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অভিজিৎ।
জেল থেকে ফেরার পর ফ্ল্যাট কেনার দরুন বকেয়া টাকা মান্থার কাছে চাওয়া হলে তিনি রীতিমতো হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এমনকি অভিজিৎ সেনের স্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও জেলে পোরার হুমকি দেওয়া হয়। এই হুমকির জেরে অভিজিতের স্ত্রী বর্তমানে ট্রমায় রয়েছেন এবং তিনি চিকিৎসাধীন। এই গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে লেক থানায় বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিজিৎ সেন।








































































































































