আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, তদন্ত শুরু ফিফার

0
5

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে আর্জেন্তিনা। শেষ চারে মেসিদের মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া। তবে তার আগে বিতর্কে লিওনেল মেসি-সহ গোটা আর্জেন্তিনা দল! নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের পর মেসিরা যেভাবে বিপক্ষ শিবিরের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন, তাতে আর্জেন্তিনার দলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফিফাও।

ম্যাচের পর মেসি-সহ আর্জেন্তিনা ফুটবলারদের আচরণে প্রচণ্ড বিরক্তি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এই তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে মেসিদের ঘাড়ে। শুক্রবার রাতের ম্যাচে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ফুটবলাররা বারবার নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন। একটা সময় তো নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররাও মাঠে নেমে প্রায় হাতাহাতি শুরু করে দিয়েছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত আর্জেন্তিনার ফুটবলার মার্কোস আকুনার একটি আচরণ। রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ক্ষিপ্ত আকুনা সপাটে বল মেরে বসেন নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চে। তারপরেই মাঠে নেমে পড়েন উত্তেজিত ডাচরা। ছুটে আসেন আর্জেন্তিনার বাকি ফুটবলাররাও। রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে। এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ শেষে হওয়ার পর, মেসি ডাচ কোচ লুইস ভ্যান গল ও তাঁর সহকারীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। আর্জেন্তিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজও অশ্লীল ভাষায় গালি দেন ভ্যান গলকে। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে রেফারিকে তোপ দাগেন মেসি। এদিকে, এই ম্যাচে রেফারি দু’দলের ১৬ জন ফুটবলার ও দুই কোচিং স্টাফকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। সাধারনত কোনও দলের পাঁচ জনের বেশি ফুটবলার কার্ড দেখলেই সেই দলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ফিফা। ফলে আর্জেন্তিনার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে ১৬ হাজার মার্কিন ডলার করে জরিমানা করা হতে পারে।