“বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি বাংলার প্রকল্পগুলিকে নকল করে চলেছে। আমরা নকল কেন নেব? আমরা আসল নেব। গোটা দেশ আসল নেবে। ২০২৪ সালে দিল্লির লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন বাংলার ঘরের মেয়ে।” শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের দেপাল গ্রামে তৃণমূলের(TMC) চাঁটাই বৈঠক থেকে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরে(Shuvendu Adhikari) চেনা সুরে একহাত নিলেন তিনি।

শনিবার মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম দেপালে গিয়ে তৃণমূলের চাঁটাই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে ব্যাঙ্কের সুদ কমানো, তেলের দাম বৃদ্ধি, কৃষক-শ্রমিক সকলের সমস্যা সৃষ্টিকারি বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলি তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি তুলে ধরেন তৃণমূল সরকারের জনমুখী প্রকল্প কন্যাশ্রী থেকে সমব্যাথী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্পের কথা। মঞ্চ থেকে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে কুণাল প্রশ্ন করেন কারা কারা এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান? হাত তুলুন। দেখা যায় দর্শকআসনে থাকা সকল মহিলা একত্রে হাত তুলেছেন। ওই মঞ্চ থেকেই কুণাল মানুষের কাছে আবেদন জানান, রাজনীতি চলবে কিন্তু আমাদের দেখতে হবে রোটি-কাপড়া-মকান। জয় শ্রীরাম বললে তেলের দাম ৫০ টাকা হবে না। ধর্ম ধর্মের জায়গায় রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। তিনি বলেন, সব কিছুকে হিন্দু মুসলিমে ভাগ করে যাচ্ছে ওরা। কেউ হিন্দু ঘরে জন্মেছে কেউ মুসলিম ঘরে। ধর্ম দিয়ে ওরা রাজনীতি করতে চাইছে। আমাদের এটা রুখে দিতে হবে।
এর পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত তো বটেই আগামী দিনে আর বড় লক্ষ্য বেধে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “গুজরাটের নির্বাচনী প্রচারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি। বাংলার একের পর এক প্রকল্পকে নকল করা হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। তাহলে আমরা নকল নেব কেন? আসল নেব। গোটা দেশকে আসলটা দেব। ২০২৪-এ লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন তাঁতের শাড়ি পরা, হাওয়াই চটি পরা বাংলার ঘরের মেয়ে। যিনি ৭ বারের সাংসদ, ৪ বারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ২ বারের রেলমন্ত্রী এবং ৩ বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গোটা দেশে ওনার চেয়ে গ্রহণযোগ্য মুখ আর কেউ নেই।”
এছড়াও এদিনের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাসায় আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। সভা থেকে শুভেন্দুর পুরানো ভাষণের রেকর্ড মানুষকে শোনান তিনি যেখানে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যাচ্ছে। বিজেপি বহিরাগত, এরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। এরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে। এদের রুখে দিতে হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রকল্পগুলির ঢালাও প্রশংসা করতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। এরপরই কুণাল বলেন, দু বছর আগেও মমতার প্রশংসা করত ও আর এখন বিজেপিতে চলে গেছে। কেন? কারণ, সারদা ও নারদা থেকে বাঁচতে। এছাড়াও তিনি বলেন, কাঁথিতে সভা করেছেন অভিষেক। সেখানে ছুটতে হচ্ছে শুভেন্দুকে। ওখানে ওদের লোক হবে না বুঝতে পেরে কাঁথিতে যোগী আদিত্যনাথকে আনতে দিল্লিতে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও কুণাল বলেন, শুভেন্দু বলে তৃণমূলের নেতারা নাকি শুভেন্দুর ৮০ শতাংশ সমালোচনা করে। সমালোচনা বড় নেতা বলে নয়, সমালোচনার কারণ তুমি ও তোমার পরিবার ৮০ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে বসেছিলে তা এখন বেইমানি করে চিলে যাওয়ার পর ৮০ শতাংশ গাল তুমি কেন খাবে না?









































































































































