রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাত্রাবস্থায় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই করতেন বলে দাবি উঠছে। এস এফ আই করেই রাজনীতিতে শুভেন্দুর হাতেখড়ি। একটি সময় শুভেন্দু যে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই করতেন, সেটা দাবি করছেন কাঁথির সেই তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস পাহাড়ি। এই দেবাশিস পাহাড়ির হাত ধরেই সিপিএম থেকে কংগ্রেসি রাজনীতিতে এসেছিলেন শুভেন্দু। এসএফআই ছেড়ে শুভেন্দু কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। শুধু এসএফআই করা নয়, শুভেন্দু কলেজে ছাত্র সংগঠনের ভোটে এসএফআই-এর হয়ে ভোটেও লড়েছেন। তখন শাসক সিপিএমের মিছিলেও হাঁটতেন শুভেন্দু।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুভেন্দুর সিপিএম যোগের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। মমতার অভিযোগ ছিল, ২০০৭-এ শুভেন্দুদের সাহায্যেই পুলিশ ও সিপিএমের ক্যাডাররা নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন। তৃণমূলের তরফেও বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছন থেকে ছুরি মেরেছিলেন। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময় শুরুতে তাঁকে দেখা যায়নি। তলে তলে সিপিএমের হার্মাদদের সঙ্গে যোগাযোগ দেখে নন্দীগ্রামে সন্ত্রাসে ইন্ধন দিতেন শুভেন্দু।
সম্প্রতি, পূর্ব মেদনীপুরের নন্দকুমারে সমবায় নির্বাচনে সিপিএম আর বিজেপি জোট করেছিল। এবং সেই অশুভ আঁতাতের পুরোটাই শুভেন্দুর অঙ্গুলি হেলনে হয়েছিল। ফলে জেলার সিপিএমের সঙ্গে শুভেন্দুর দীর্ঘদিনের সখ্যতা ফের সামনে চলে আসে।

শুভেন্দুর সিপিএম যোগ সামনে আসতে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এসএফআই থেকে সিপিএমের মিছিলে হাঁটা, তারপর ছাত্র পরিষদ থেকে অবিভক্ত কংগ্রেস, পরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে বর্তমানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু। নিন্দুকেরা কটাক্ষের সুরে বলছেন, শুধু এই বাংলা নয় এমন দলবদলু বিরল প্রতিভার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গোটা ভারতবর্ষে আর দ্বিতীয়টি নেই!
আরও পড়ুন:সুখবর! শুরু হল শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং












































































































































