ধর্ষি*তার উপর দু’আঙুলের পরীক্ষা (টু ফিঙ্গার টেস্ট) সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ, বলে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ধরনের পরীক্ষা যাতে কোনও ভাবেই একজন ধর্ষি*তার উপর করা না হয়, সোমবার তা নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, যদি কেউ এই ধরনের পরীক্ষা করেন, তবে অসদাচরণের দায়ে পড়তে হবে তাঁকে।সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই ধরনের পরীক্ষা কোনও ভাবেই একজন ধর্ষিতার উপর করা যাবে না বলে দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। দেশে যে এখনও এই ধরনের পরীক্ষার চল রয়েছে, সে ব্যাপারে আক্ষেপ করে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের মত, ‘‘এই পরীক্ষা অবৈজ্ঞানিক তো বটেই, পাশাপাশি আমাদের সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের পরিচয় দেয়। এই পরীক্ষা একটি সম্পূর্ণ ভুল মনোভাবকে মান্যতা দেয়। কারণ, যৌনজীবনে সক্রিয় কোনও নারীকে ধর্ষ*ণ করা যায় না।’’
প্রসঙ্গত,ধর্ষ*ণের পরীক্ষা হিসেবে টু ফিঙ্গার টেস্টকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল দশ বছর আগে। ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়া-কাণ্ডের পরের বছরই সুপ্রিম কোর্ট দু’আঙুলের পরীক্ষাকে মহিলাদের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও অবশ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষি*তাকে এই ধরনের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এক জন ধর্ষি*তাকে যখন এই পরীক্ষা করা হয় তিনি নিশ্চিতভাবেই আরও একবার একই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যান। একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণার উপর দাঁড়িয়ে তাঁকে ওই যন্ত্রণা দেওয়া অর্থহীন।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার এবং সমস্ত রাজ্য সরকারকে এই সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনে চলতে বলেছে। একই সঙ্গে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে এই নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।










































































































































