শপথ নেওয়ার মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী(Britain Prime Minister) লিজ ট্রাস(Liz Tras)। দায়িত্ব নেওয়ার পর আর্থিক নীতি ঘিরে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ট্রাসকে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়েন তার দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। প্রবল চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ইস্তফা(Resignation) দিতে বাধ্য হলেন ট্রাস।

বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন লিজ ট্রাস। সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহেই হতে পারে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমে তিনি কর্পোরেট করে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন। তার জেরে পাউন্ডের দাম ঐতিহাসিকভাবে কমে যায়। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের উপর থেকে করের বোঝা কমানোর প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি ট্রাসের সরকার। সব মিলিয়ে ট্রাসের উপরে চাপ বাড়তে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেংকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হন ট্রাস। এক সপ্তাহের মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। এই দুই পদেই ঋষি সুনাকের ঘনিষ্ঠ এমপিদের বসাতে হয় ট্রাসকে। এরপর বৃহস্পতিবার নিজেই ইস্তফা দিলেন ট্রাস। তাঁর ইস্তফার খবর পাওয়া মাত্র শেয়ার বাজারে পাউন্ডের দাম বাড়ছে বলেও শোনা গিয়েছে।
এদিকে ট্রাসের ইস্তফার পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এখনই নির্বাচন হলে বৃটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তিনিই হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবার লড়াইয়ে ফিরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঋষির জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে পারে বলে অনুমান।











































































































































