কেরলের নরবলির ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।এবার নৃশংস অভিযোগ উঠল মোদিরাজ্যেও। নবরাত্রিতেই পরিবারের মঙ্গলকামনায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বলি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে , গুজরাতের গির সোমনাথ জেলার একটি গ্রামে।

আরও পড়ুন:৫ বছরের শিশুকন্যাকে বলি, অসমে গ্রেফতার তন্ত্রসাধক

গ্রামবাসীদের অভিযোগ,গত ৩ অক্টোবর সংসারের মঙ্গলকামনায় তাঁদের কন্যাসন্তানকে বলি দেয় পরিবারের সদস্যরাই। পরিবারের বিশ্বাস ছিল, কন্যাসন্তানকে উৎসর্গ করলে পরিবারের অর্থ ও ধনসম্পদ বৃদ্ধি পাবে। এমনকি কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু সম্পর্কে পঞ্চায়েতেও নথিভুক্ত করা হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাঝরাতে বলি দেওয়ার পর পরিবারের খামারবাড়ি লাগোয়া জমিতে দাহ করা হয় কিশোরীকে৷ এরফলে সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে দেয় পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট জবাব নেই পুলিশের কাছেও। জেলার পুলিশ সুপার মনোহর সিং জাদেজা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কিশোরীর রহস্যমৃত্যুতে অভিযুক্ত তার বাবা মা৷ অভিযুক্তদের খামাবাড়ি থেকে ছাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ৷ করা হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা৷
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে ১৪ বছরের ওই কিশোরী ৬ মাস আগেও সুরাতে পড়শুনো করত। কিন্তু আচমকাই তাকে ওই গ্রামে নিয়ে আসে তার বাবা। এরপর থেকে ওই খামাড়বাড়িতেই থাকত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,সেখানেই গত ৩ অক্টোবর বলি দেওয়া হয় কিশোরীকে৷ তার বাবা মায়ের বিশ্বাস ছিল, তাদের কন্যাসন্তান আবার বেঁচে উঠবে৷ সেই আশায় চার দিন ধরে মেয়ের দেহ সৎকার না করে রেখে দেওয়া হয়েছিল৷ শেষে আর কোনও আশা নেই বুঝে অল্প কয়েক জন পরিজনের উপস্থিতিতে দাহ করা হয় কিশোরীকে৷









































































































































