টাকা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি মেলেনি, আত্ম*ঘাতী চাকরিপ্রার্থীর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ

0
5

টাকা দিয়েও মেলেনি স্কুলে শিক্ষাকতার চাকরি। প্রতারণার শিকার হয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন লালগোলার আব্দুর রহমান। এবার সেই আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থীর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সেই নির্দেশ মতোই আব্দুর রহমানের মরদেহ আজ, শুক্রবার সকালে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো লালগোলা থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত! ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ শুনবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

গতকাল, বৃহস্পতিবার লালবাগের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, গত মঙ্গলবার আত্মঘাতী যুবকের যে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই কবরস্থ করা হয় তা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফি করে কবর থেকে তুলতে হবে এবং ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেই নির্দেশ পালনের জন্য শুক্রবার সকালে লালগোলা থানার পুলিশ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তথা লালগোলার ভিডিও সুব্রত ঘোষের উপস্থিতিতে কবর থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার জন্য এক প্রতারকের পাল্লায় পড়েছিল আব্দুর রহমান। ৬ লক্ষ টাকা দিয়েও আব্দুর রহমান চাকরি পাননি। তাঁর ঘরে থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে তিনি এই প্রতারণার কথা উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। তারপরেই আব্দুরের বাবা মুফিজুদ্দিন শেখ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় প্রতারক রেহেসান শেখকে। বৃহস্পতিবার তাকে লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ধৃতের ১০দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ ধৃতকে জেরা করে দেখছে এই প্রতারণা চক্রের শিকড় কত দূর। এর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত। সেটা জানার৪ চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।কেনই বা এই প্রতারক চক্রের পাল্লায় পড়েছিলেন আব্দুর রহমান, সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঠিক এমন সময় এই ঘটনা ঘটল যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই ঘটনার আদৌও কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।