ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত ইস্ট বেঙ্গলের, ডার্বি জিতেও মোহনবাগানের বিদায়ের আশঙ্কা

0
2

ডুরান্ড ডার্বিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েও গ্রুপ লিগের গণ্ডি পেরিয়ে নক আউটে যাওয়া আটকে যেতে পারে এটিকে মোহনবাগানের। বুধবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাদের লড়াই ইন্ডিয়ান নেভির সঙ্গে। জুয়ান ফেরান্দোর দল এখন যা ফর্মে আছে তাতে ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে তাদের জয় পাওয়া নিয়ে কোনও সংশয় থাকার কথা নয়। এবং নেভিকে হারালে চার ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট হবে সাত। কিন্তু তাতেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে কোথায়?

কারণ, গ্রুপের অপর দুটি দল অর্থাৎ রাজস্থান ইউনাইটেড এবং মুম্বই সিটি এফ সি-ও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার অন্যতম দাবিদার। ইতিমধ্যেই মুম্বই সিটি এফ সি তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে। আর রাজস্থান ইউনাইটেডের এখন তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট। তারা হারিয়েছে মোহনবাগানকে। ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। হেরেছে মুম্বই সিটি এফ সি-র কাছে। ৫ সেপ্টেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা যদি ইন্ডিয়ান নেভিকে হারিয়ে দেয় তাহলে তাদেরও পয়েন্ট হবে সাত। ডুরান্ডের নিয়ম অনুযায়ী দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে প্রথমে দেখা হবে হেড টু হেডের ফল। এক্ষেত্রে মোহনবাগান যেহেতু রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে হেরেছে তাই দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও রাজস্থানই চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। মূল্য পাবে না তাদের ডার্বি জয়ের কৃতিত্ব।

আরও পড়ুন- যে কোনও শর্তে জামিন দিন: ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থর আবেদন

মোহনবাগানের ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই ইন্ডিয়ান নেভির হাতে। মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান নেভিকে হারালেই হবে না, অপেক্ষা করতে হবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর মোহনবাগানের যদি বা কিছুটা হলেও আশা আছে, কিন্তু ইস্ট বেঙ্গলের তো কোনও আশাই নেই। লাল হলুদের শেষ ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বর মুম্বই সিটি এফ সি-র সঙ্গে। তিন ম্যাচে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের টিম। তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২। শেষ ম্যাচে মুম্বইকে হারালেও কিছু হবে না। কারণ তখন হাতে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তাদের গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিতে হবে। তবে ইস্ট বেঙ্গলের এখন যা অবস্থা তাতে তাদের পক্ষে মুম্বইকে হারানো খুব কঠিন। কিন্তু যদি বা তারা জেতেও তাহলেও গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিশ্চিত। ময়দানের তৃতীয় প্রধান মহমেডান স্পোর্টিং অবশ্য তিন ম্যাচের সব কটিতেই জিতে চলে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। যা অবস্থা, তাতে ডুরান্ডে কলকাতার সম্মান রাখার দায়িত্ব এখন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের উপর।