সিবিআইয়ে অনাস্থা: দিলীপের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ দিল্লি, সুকান্তদের কাছে রিপোর্ট চাইলেন শাহ-নাড্ডারা

0
3

তৃণমূলের(TMC) বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে সিবিআই(CBI) ইস্যুতে বিজেপির(BJP) তো বটেই একেবারে মোদি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। সিবিআইকে নিয়ে রবিবার দিলীপ যা বলেছেন তা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর অনাস্থার সামিল। কারণ সিবিআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পার্সোনেল’ (কর্মিবর্গ) মন্ত্রকের আওতাভুক্ত। অন্যদিকে সিবিআইকে তোপ দাগলেও ইডির প্রশংসা করেছেন দিলীপ যা অর্থমন্ত্রকের অধীন। সব মিলিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে কেন্দ্রের। এই ঘটনাতেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার মনোভাব দেখালো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিলীপের বক্তব্যের রিপোর্ট তলব করা হল রাজ্য বিজেপির কাছে।

সিবিআই প্রসঙ্গে রবিবার দিলীপ ঘোষ ঠিক কী বলেছেন সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির কাছে। তাঁর বক্তব্যের ভিডিওর পাশাপাশি বক্তব্যের হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদ চাওয়া হয়েছে। আর এই রিপোর্ট চেয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর পাশাপাশি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও আলাদা করে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য দলের কাছে একই বার্তা পাঠিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষও। যদিও এতকিছুর পরও অনড় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সোমবারেও তিনি তাঁর বক্তব্যে অনড় থেকেছেন। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিজের রবিবারের বক্তব্যের সমর্থনে কথা বলেছেন। ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তাতে দিলীপের উপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উষ্মা আরও বেড়েছে।

উল্লেখ্য, সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফে বারবার বাংলায় সিবিআই সেটিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের পাশাপাশি তার জবাব দিতে হয়েছে বিজেপিকেও। তবে এবার সেকথা তুলে ধরেই দিলীপ বলেন, “আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হলেও কোনও কাজ হচ্ছিল না। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং চলছিল। সিবিআইয়ের কোনও কোনও আধিকারিক বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। সেটা বুঝতে পেরেই রাজ্যের বিভিন্ন মামলার তদন্ত ইডিকে দিয়েছে কেন্দ্র।” এর পাশাপাশি রবিবার তিনি বলেন, “সিবিআই দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ন্যায় পাইনি। ভোটের পর আমাদের ৬০ জন কর্মী মারা গিয়েছেন। কোর্ট বলেছিল সিবিআইকে, তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু সিবিআই তো এফআইআরই দায়ের করতে পারল না। তুলনায় ইডি অনেক ভাল কাজ করেছে। প্রমাণ করে দিয়েছে, তারাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এজেন্সি।”