রাজ্যে বহুদিন ধরে অবরুদ্ধ নিয়োগ প্রক্রিয়া। একাধিক স্তরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত।নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইন এবং ধারার ব্যাপক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র সামনে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আগামী দিনে অনেক সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ করতে চায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার বলেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের জন্য আইনি সহানুভূতি নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনও বেআইনি কাজ হবে না।বেআইনি ভাবে কিছু করতে চাই না। আইনি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখব। নতুন নিয়োগ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে যে ২১ হাজার পদে আগামী দিনে নিয়োগ হবে, সেই ব্যাপারে আলোচনার জন্য এদিন মন্ত্রী শিক্ষা দফতরের অফিসার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে আইনজীবীদেরও ডাকা হয়েছিল। পরে মন্ত্রী বলেন, সামনে যে ২১ হাজার পদে নিয়োগ আসছে, বৈঠকে মূলত তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ধারা এবং আইনে ব্যাপক রদবদল করা হবে। তাঁর আশ্বাস, পুজোর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী,উচ্চ মাধ্যমিকে রয়েছে ৫,৫২৭টি শূন্যপদ রয়েছে। মাধ্যমিকে ১৩,৮৪২টি । এছাড়া সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের জন্য ২,৩২৫টি শূন্যপদ রয়েছে। সব মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা ২১ হাজার ৬৯৪টি। এছাড়া রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকে শূন্যপদ তিন হাজার ৯৩৬ টি। নিয়োগ প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ”নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। সেই নিয়মগুলি আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছি আমরা।” এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ৮ অগাস্ট বৈঠকের জন্য চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন এসএসসি আন্দোলনকারীরা।এখনও চিঠি দেননি, নিশ্চয়ই দেবেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে দেখা করেন এসএসসি আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। প্যানেলে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ১০০ শতাংশ নিয়োগ নিয়ে আশ্বস্ত করেন তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আশ্বস্ত চাকরিপ্রার্থীরা।









































































































































