এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যে দুর্নীতির পাহাড়ে বসেছিলেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তদন্তকারী সংস্থা। জাল গোটাতে গিয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দু’টি বেনিয়ম নজরে এবার নজরে এসেছে এজেন্সির। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, এক্ষেত্রেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একটানা ৭ বছর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সময়কালের মধ্যে বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়। এবং অনেক ক্ষেত্রেই এই অনুমোদনের জন্য কোটি কোটি নগদ টাকার লেনদেন হয়েছ বলে ইডি খবর পেয়েছে।
পার্থর আমলে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চালুর ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুযায়ী যথেষ্ট পরিকাঠামোই ছিল না। কিন্তু খাতায়-কলমে তা দেখিয়ে দেওয়া হয় কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে। এমনকী, কোর্স চালুর ক্ষেত্রেও ব্যাপক কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে ইডির দাবি। এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখন ইডির স্ক্যানারে।

এখানেই শেষ নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র, মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড, বুকলেট, ম্যাগাজিন ইত্যাদি ছাপতে হয়। সাধারণত সরকারি প্রেস থেকেই এগুলি ছাপা হতো। কিন্তু করোনা পিরিয়ডে
এই বিপুল সামগ্রী ছাপার বরাত পায় একাধিক বেসরকারি প্রেস। এখানেও কমিশনের বিনিময়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নথি হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ কোটি টাকার একটি নথিও হাতে পেয়েছে বলে দাবি ইডির। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ও লোকজনের নাম উঠে আসছে।
আরও পড়ুন:বাংলার অচিন্ত্যকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর















































































































































