মোদির রাজ্যে বিষমদে মৃত্যু বেড়ে ৪২, প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ রাহুলের

0
3

খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনেকেই। মৃত্যু মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গুজরাটে। যদিও সূত্র বলছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করছে না গুজরাট সরকার। এই মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার  মোদিকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কোন ক্ষমতাসীন শক্তি মাদক মাফিয়াদের নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে এদিন মোদিকে খোঁচা দেন তিনি।

আরও পড়ুন:মাঝআকাশে বিপর্যয়! রাজস্থানে ভেঙে পড়ল মিগ যুদ্ধবিমান, মৃত ২

ট্যুইটে রাহুল লেখেন, ‘ড্রাই স্টেট গুজরাটে নকল মদ পান করে বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। সেখানে কোটি কোটি টাকার মাদকও ক্রমাগত উদ্ধার করা হচ্ছে। খুবই উদ্বেগের বিষয়! বাপু ও সর্দার প্যাটেলের রাজ্যে নির্বিচারে মাদকের ব্যবসা কারা চালাচ্ছে? কোন ক্ষমতাসীন শক্তি এই মাফিয়াদের নিরাপত্তা দিচ্ছে?’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই গুজরাটের বোটাদ জেলার বরভলার কয়েকটি গ্রামে বিষমদে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত পাঁচ দিনে দুই জেলায় বিষমদ খেয়ে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ ৯৭ জন।  মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, মদে বিষক্রিয়ার কারণেই এই মৃত্যু বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এদিকে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে ছ’জন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বদলি হয়েছেন দুই জেলার পুলিশ সুপার। কিছু না জানিয়ে কেন তাঁদের বদলি করা হল সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সূত্রের একাংশ বলছেন, অনেকেই পরিবারের সদস্যদের শেষকৃত্য করে ফেলেছেন। তাঁরা মনে করেছেন স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় কাউকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু ভর্তির আগেই তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ময়নাতদন্ত না করেই মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ঠিক কত, তা সঠিকভাবে প্রকাশ করছে না গুজরাট সরকার।

বহু বছর ধরেই গুজরাতে মদ্যপান এবং মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। তার পরেও এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেসের অভিযোগ, শাসকদলের প্রশ্রয়ে রাজ্যে চোলাই মদের রমরমা বাড়ছে। একই অভিযোগ, আম আদমি পার্টিরও। প্রকাশিত কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মোদি-শাহের রাজ্যের গ্রাম ও শহরের বহু এলাকাতেই প্রকাশ্যে ২০ টাকায় পাউচে ভরা চোলাই মদ বিকোচ্ছে। চোলাইয়ের রমরমা ঠেকাতে তাও কোনও সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না পুলিশ।