দেশের জন্য রুপোর পদক আনতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এ এক দারুণ অনুভূতি। আগামী বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আরও ভালো ফল করতে চাই। চেষ্টা করব পদকের রং পরিবর্তন করতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জেতার পর একথা বললেন নীরজ চোপড়া। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, পরের বছর তাঁর টার্গেট সোনা। ২৪ বছরের নীরজের কথায়, বিদেশি কোচ থেকে শুরু করে আধুনিক প্রশিক্ষণ, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন, সাই এবং সরকার সবরকম ভাবে সাহায্য করেছে। সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এমন সহযোগিতা পেলে সব খেলাই উন্নতি করবে।

বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে রবিবার ইতিহাস তৈরি করলেন নীরজ। ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পদক পেল ভারত। এই প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ, যিনি রুপোর পদক জিতেছেন। এর আগে অঞ্জু ববি জর্জ (২০০৩) লং জাম্পে প্রথমবার পদক জিতেছিলেন। সোনা জয়ী অ্যান্ডারসন পিটার্স ৯০.২১ মিটার, রূপো জয়ী নীরজ চোপড়া ৮৮.১৩ মিটার, ব্রোঞ্জ জয়ী জাকুব ভাদলেজচ ৮৮.০৯ মিটার ছুড়েছেন। অ্যান্ডারসন প্রথম থ্রোতে ৯০.২১ মিটার ছুঁড়ে, নীরজকে পিছনে ফেলে দেন। তিনটি থ্রোয়ে নীরজ পিছিয়ে ছিলেন।
কিন্তু ভারতীয় ক্রীড়াবিদ চতুর্থ থ্রোয়ে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে সেরাটা করে নেন। পিটার্স আর নীরজের পর চেক রিপাবলিকের জাকুব ভাদলেজচ ৮৮.০৯ মিটার ছুড়তে পারেন। এই লড়াইয়ে আরেক ভারতীয় রোহিত যাদব শেষ করেন দশম স্থানে (৭৮.৭২ মিটার)।নীরজ চোপড়া এদিন অবশ্য সেরা ফর্মে ছিলেন না। প্রথম থ্রো ফাউল হয়ে যায়। একই অবস্থা হয় পঞ্চম থ্রোয়ে। কিন্তু একটি মাত্র ভালো থ্রোয়েই বাজিমাত করেন চোপড়া। চলতি বছর নীরজ চোপড়া ৮৯.৯৪ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে রেকর্ড তৈরি করেছেন স্টকহোম ডায়মন্ড লীগে। সেখানে তিনি রুপো জিতেছেন।









































































































































