কিছুতেই আর করোনা (Corona) কাটিয়ে চিন্তা মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। মাস খানেক আগে পর্যন্ত যে দৈনিক সংক্রান্তের হার ছিল ১০ হাজারের নিচে এখনই তা ২০ হাজারের ঘর থেকে যেন নড়তেই চাইছে না। শুধু তাই নয় গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও (Active case)। দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের (Corona Infection) ছবি বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। যদিও রিপোর্ট বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছুটা কমেছে সংক্রমণ। এর মাঝেই দেশে ফের হদিশ মিলেছে এই স্ট্রেনের সাব-ভ্যারিয়েন্টে (Sub-variant)আক্রান্তের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত পাঁচ রাজ্য হল মহারাষ্ট্র (maharastra), কেরল (Kerala), তামিলনাড়ু (Tamilnadu), পশ্চিমবঙ্গ (West bengal) এবং কর্ণাটক (Karnataka) । এছাড়া ওড়িশাতেও একদিনে আক্রান্ত হাজারের বেশি। গুজরাট ও দিল্লির পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিজনক। আবার পুণেতে ওমিক্রণের সাব-ভ্যারিয়েন্ট BA.5-তে আক্রান্ত দু’জন । BA.4 ও BA.5 মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত মোট ১৬০ জন। পাঁচ থেকে চারে উঠে এল বাংলা। রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২৭৯ জন। এই নিয়ে দেশে মোট করোনা সংক্রমিত হলেন ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৫৫ জন। দেশের সক্রিয় রোগী ১ লক্ষ ৫২ হাজার ২০০। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার ০.৩৫ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৩ জনের। তবে সুস্থতার হারও চোখে পড়ার মতো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ১০ হাজার ৫২২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৮ হাজার ১৪৩ জন। হিসেব বলছে সুস্থতার হার প্রায় ৯৮.৪৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ২০২ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।













































































































































