পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদ হলেও সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে মার্গারেট আলভার সম্পর্ক সুবিধের নয়। আসলে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আশি বছর বয়সী নেত্রী অনেক ক্ষেত্রে দলের কঠোর সমালোচক।
নিজের রাজনৈতিক যাত্রাপথ নিয়ে মার্গারেট আত্মজীবনী লিখেছেন। সেখানে বহু বিষয়ে ইন্দিরা-সঞ্জয়-সোনিয়াকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
এর আগে ২০০৮ সালে কর্ণাটকে টিকিট বিতরণ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। পরে কংগ্রেস তাঁকে কিছু পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। পরবর্তী ইউপিএ সরকারের আমলে তাঁকে মন্ত্রীও করা হয়নি। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন এরপর থেকে দেশের রাজনীতিতে চর্চায় থেকেছে।
নিজের লেখা বইতে মার্গারেট দাবি করেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও সোনিয়া গান্ধীর মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস ছিল না। বোফর্স মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের একটি নির্দেশিকা নিয়ে দু’জনের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। মার্গারেটের আরও অভিযোগ, নরসিমা রাওয়ের ছেলের মরদেহ ঢুকতে দেওয়া হয়নি কংগ্রেসের সদর দফতরে।
ইন্দিরা সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন মার্গারেট আলভা। এমনকী এই বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন।নিজের লেখা বইতে সঞ্জয় গান্ধীর ব্রেন চাইল্ড ‘নৃশংস’ জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করেন মার্গারেট। সমালোচনা করেন ইন্দিরা গান্ধীর। জানান, তুর্কমান গেটের পরিস্থিতির কথা ইন্দিরাকে জানালে তাঁকে বলা হয়, অনধিকার চর্চা করছেন তিনি।
মার্গারেটর দাবি, মনমোহন সিং তাঁকে মন্ত্রিসভায় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে না জানিয়েই আচমকা রাজ্যপালের পদ দেওয়া হয়।
২০০৮ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে দলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। যার জেরে ওই নির্বাচনে তাঁর ছেলে নিবেদিথ আলভাকে টিকিট দেয়নি দল। এমনকী তাঁকে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
তার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ সত্ত্বেও উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মার্গারেটকেই মেনে নিতে হয়েছে সোনিয়াকে।কারণ প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।









































































































































