দেশের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ানক, এজেন্সির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন অভিষেক

0
4

“ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি এখন জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ানক”, “সিবিআই-ইডি নিজেদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিক”, বৃহস্পতিবার সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে অস্থায়ী শিবির পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের সরকার ও শাসক বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, কয়লা কাণ্ডে ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও একবার রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । একইসঙ্গে তলব করা হয়েছে বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকে। কয়লা পাচার কাণ্ডে এই দুই মন্ত্রী-বিধায়ককে জেরা করতেই তলব করা হয়েছে। আগামিকাল, শুক্রবার বেলা ১১টার মধ্যে দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে মলয়বাবু ও সুশান্তকে। প্রসঙ্গত, মলয়বাবু এর আগেও চারবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু সুশান্তকে এই প্রথমবার ডাকল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এই দুই দলীয় বিধায়ককে এজেন্সির তলব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ইডি, সিবিআই যে নিরপেক্ষ আগে তার প্রমাণ দিক। ঘরে চুরি হলে নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশ্ন করেন, নাকি প্রতিবেশিকে বলেন। কোলিয়ারির নিরাপত্তার দায়িত্বে তো থাকে সিআইএসএফ, তারা কেন্দ্রের তো আওতাধীন। তাদের বলুন। আমরা আমাদের কাজ করব, সিবিআই ওদের কাজ করুক।”

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, “ভারতবর্ষের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও খারাপ হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে গ্যাস, কেরোসিনের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মানুষ না পাচ্ছে গ্যাসে রান্না করতে, না পারছে কেরোসিনে। আর যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এজেন্সি লাগাচ্ছে। আমরা মাঠে ময়দানে নেমে প্রতিবাদ করার শপথ নিয়েছি। একুশে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে দিক নির্দেশিকা নেবো। সেই পথেই এগিয়ে যাবো। মেরুদন্ড বিক্রি করিনা আমরা। যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে তাদের ছাড়। এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করছে। সারদা কেলেঙ্কারিতে সুদীপ্ত সেন নিজে শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলছে। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে বলেছে। গ্রেফতার তো দূরের কথা, সিবিআই একবার একবার ডেকে তো জিজ্ঞাসাও করতে পারতো। কিন্তু করছে না। তবে আমাদের পিছনে যত ইডি-সিবিআই লাগবে, তত আমাদের জন সমর্থন বাড়বে। ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাদের থামিয়ে রাখা যাবে না। সেটা আগেও প্রমাণ হয়েছে।”

আরও পড়ুন- ঐতিহাসিক জয়ের পরে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বোর্ড গঠন