আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের (Parliament) বাদল অধিবেশন। তার আগেই সংসদে সেন্সর! বই প্রকাশ করে অসাংবিধানিক শব্দের তালিকা (List of unconstitutional words) দিল লোকসভার সচিবালয় (Lok Sabha Secretariat)। গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ, দাবি বিরোধীদের।
ফের সাংসদদের কন্ঠ রোধের চেষ্টা। সংসদ ভবনে কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে আর কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না তা স্পষ্ট করল লোকসভার সচিবালয়। এ বিষয়ে কয়েকটি শব্দের উল্লেখ করে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বইতে থাকা শব্দ ব্যবহার করা যাবে না । ১৮ জুলাই থেকে শুরু হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বাদল অধিবেশন থেকেই। ঠিক কী রয়েছে ওই তালিকায়? সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কিছু কীওয়ার্ড সংসদীয় কার্যক্রম চলাকালীন ব্যবহার করা যাবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, কিছু শব্দ যেমন ‘ব্লাডশেড’, ‘ব্লাডি’, ‘বিট্রেইড’, ‘অ্যাশেমড’, ‘অ্যাবিউসড’, ‘চিটেড’, ‘চামচা’, ‘চামচাগিরি’, ‘চেলা’, ‘চাইল্ডিশনেস’, ‘কোরাপ্ট’, ‘কাওয়ার্ড’, ‘ক্রিমিনাল’ এবং ‘ক্রোকোডাইল টিয়ার’। এছাড়াও রয়েছে, ‘অ্যানার্কিস্ট’, ‘গদ্দার’, ‘গিরগিট’, ‘বেহরি সরকার’ সহ আরও অনেক শব্দ। এই তালিকায় রয়েছে ‘দাঙ্গা’, ‘দালাল’, ‘বিশ্বাসঘাত’, ‘কালোবাজারি’, ‘অসত্য’, ‘অহঙ্কার’-এর মতো বিভিন্ন শব্দও। নয়া নিয়মে বলা হয়েছে লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শব্দ এবং অভিব্যক্তির অপসারণের বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তালিকায় জানান হয়েছে যে অসংসদীয় অভিব্যক্তির তালিকায় ইংরেজি অথবা হিন্দিতে উভয় কক্ষের চেয়ারের বিরুদ্ধে করা কোনও অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একে সংসদের নথি থেকে বাদ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই তালিকার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। এই বিষয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে লেখেন ‘কয়েকদিনের মধ্যেই অধিবেশন শুরু হবে। সাংসদদের উপর গ্যাগ অর্ডার জারি।” পাশাপাশি তিনি জানান আর কয়েক দিনের মধ্যে অধিবেশন শুরু এখন এইসব কথা বলে গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধের চেষ্টা হচ্ছে।















































































































































