নিষিদ্ধ মাদক কোকেন সহ পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন আগেই। সদ্য জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পামেলা গোস্বামীকে(Pamela Goswami) ফের আপন করে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি(BJP)। বড় দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি পামেলাকে এবার দেখা গেল এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু(Droupadi Murmu) এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Ahuvendu Adhikari) সঙ্গে। এই ঘটনায় চরম বিতর্কের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। বিজেপির অন্দরমহল থেকে ফের উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা ‘কামিনী কাঞ্চন’ তত্ত্ব।
গতকাল কলকাতায় পা রেখেছিলেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। সকাল থেকে একাধিক কর্মসূচির পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁর। মুর্মুর এই সফরে তাঁর পাসেই দেখা গিয়েছে মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া বিজেপির বিতর্কিত চরিত্র পামেলা গোস্বামীকে। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ছবি সামনে আসার পর বিজেপির অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিজেপির এক রাজ্য নেতার দাবি, যে নেত্রী মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই সরব হলেন তাঁকেই তুলে এনে বিজেপির যুব মোর্চার সাংস্কৃতিক সেলের ইনচার্জ পদে বসানো হল। এবার রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছবিও তুলতে দেখা যাচ্ছে। অথচ দলের একনিষ্ঠ আদি কর্মীরা বঞ্চনার শিকার হয়ে ঘরের দোর বন্ধ করেছে। তাঁদের প্রতি কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই এই দলীয় নেতৃত্বের। এই কামিনী কাঞ্চনই দলটাকে নষ্টের দিকে নিয়ে চলেছে। এটা তার আরও এক প্রমাণ।
উল্লেখ্য, গত বছর ফেব্রুয়ারি নাগাদ নিষিদ্ধ কোকেন সহ নিউ আলিপুরে পুলিশ হাতেনাতে ধরে এই বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে। তাঁর গাড়ি থেকে ১০০ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তাঁর সঙ্গীর কাছেও মাদক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই মাদকের বাজারমূল্য ছিল লক্ষাধিক টাকা। এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিজেপিকে। পরে পামেলা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চলতি বছরের মার্চে রাজ্যে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ পেশায় মডেল-অভিনেত্রী পামেলাকে। তারপর থেকেই এই ঘটনায় কামিনী কাঞ্চনের কানাঘুষো শুরু হয় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এবার দ্রৌপদী মুর্মু ও শুভেন্দুর সঙ্গে পামেলার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে চরম বিতর্কের পাশাপাশি দলের অন্দরেও ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে।