দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে। এবার তাঁকে সরাসরি জবাব দিলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত (Surya Kanta)। খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাতারাতি শিরোনামে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

জেলা আদালত থেকে পদোন্নতি পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়া সূর্যকান্ত এর আগে একাধিক বিতর্কিত কেসের শুনানি করেছেন। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় কৃষকদের ফসল কাটার পর মাঠে আগুন দেওয়াতে দূষণের সমস্যা নিয়ে মামলায় হাইকোর্টে সেই বিচারপতির এজলাসেই ওঠে একদিন। নিজে কৃষক পরিবার থেকে বড় হয়েছেন তাই খুব ভালো করে বুঝেছেন মাঠের কষ্ট। কোনও অপরাধ ছোট বা বড় এই ভিত্তিতে জামিন হওয়া উচিত বা অনুচিত – এই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন না তিনি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে সূর্য কান্ত ছিলেন হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা সূর্য কান্ত বিচারকের চাকরি করার আগে ছিলেন আইনজীবী। তিনি সংবিধান, পরিষেবা এবং নাগরিক অধিকার বিষয়ক আইনের একজন বিশেষজ্ঞ। একটা সময় হরিয়ানার অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সেই বিচারপতি সূর্য কান্তই শুক্রবার বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিয়েছেন। তাঁর ডিভিশন বেঞ্চের আর এক বিচারপতি ছিলেন জেবি পরদিওয়ালা। কিন্তু মূল কাজটি করেছেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। ওনার ডিভিশন বেঞ্চেই নূপুর শর্মার তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল যাতে দেশের নানা আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলি দিল্লিতে শুনানির ব্যবস্থা করা হয়। দুই বিচারপতি নূপুরের হাইকোর্টে না গিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন।
নুপুর শর্মাকে কার্যত জবাব দিয়ে বিচারপতি বলেছেন, নুপুর দেশের মানুষের আবেগকে নষ্ট করেছেন। উদয়পুরের ভয়াবহ কান্ড নূপুর শর্মার জন্যই ঘটেছে বলেও বিচারপতি উল্লেখ করেন। সেই কারণে নূপুর শর্মাকে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলে আদালত। এজলাসে নূপুর শর্মার আইনজীবীরা নূপুরের অনৈতিক এবং বিদ্বেষ মূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভুল যুক্তি তৈরি করবার চেষ্টা করেছিলেন বটে। কিন্তু বিচারপতি কার্যত প্রত্যেকের মুখ বন্ধ করেছেন।

















































































































































