বিশ্বমঞ্চে বাক স্বাধীনতার কথা বলে হাততালি কুড়োতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) জুড়ি মেলা ভার। অথচ এহেন মোদি সরকার দেশের অন্দরে বিরোধীদের বাক স্বাধীনতায়(Freedom of Speech) চরম আঘাত হানতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল টুইটারের(Twitter) দৌলতে।

সম্প্রতি টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার তরফে দেশের বহু রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও প্রভাবশালী যারা মোদি সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তাঁদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। শুধু তাই নয়, মোদি সরকারের তরফে টুইটারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, যারা কৃষক আন্দোলন সমর্থন করছে তাদের অ্যাকাউন্টও ব্লক করার। চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্ট গত ২৬ জুন প্রকাশ্যে আনা হয় গত ২৬ জুন। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের তরফে টুইটারের কাছে এমন বেশিরভাগ অনুরোধই এসেছিল গত বছরের ৫জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। যদিও কতগুলি অ্যাকাউন্ট বন্ধের অনুরোধ রক্ষা করা হয়েছিল সেই সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি এই রিপোর্টে। তবে যে অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করার অনুরোধ জানানো হয় তাদের মধ্যে ছিলেন বেশকিছু কংগ্রেস ও আপ নেতা, বহু সাংবাদিক, সমাজের প্রভাবশালীর পাশাপাশি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ও কিষাণ একতা মোর্চা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একদিকে জি-৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বাক-স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছেন সেখানে দেশের অন্দরে সেই স্বাধীনতা রক্ষায় মোদি সরকার আদৌ কতখানি সচেষ্ট।


















































































































































