জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ( National Election commission) তত্ত্বাবধানে ভোট হলেও ত্রিপুরায় চাপা সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গেরুয়া বাইক বাহিনীর দাপট অব্যাহত। এরই মাঝে প্রচারে গিয়ে ঝড় তুলেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়( Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকে আগরতলা (Agartala) পর্যন্ত ঐতিহাসিক রোড-শো বিজেপির হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। বড়দোয়ালি কেন্দ্রে প্রার্থী চয়নেও চমক দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এখানে ঘাসফুল প্রতীকের প্রার্থী স্বাধীনতা পরিবারের সন্তান সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্র থেকেই লড়ছেন ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা(Manik Saha)। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী আবার বিজেপির দলছুট আশিস সাহা। বামেরা প্রার্থী দিলেও রাস্তায় দেখা নেই।

তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী সংহিতাদেবী মানুষের বাড়ি বাড়ি জোরদার প্রচার চালিয়েছেন। আর অভিষেক আসার পর তো উপনির্বাচনের ঝাঁজ আরও বেড়ে গিয়েছে বড়দোয়ালি ও আগরতলা কেন্দ্রে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বড়দোয়ালি কেন্দ্রে খুব একটি স্বস্তিদায়ক জায়গায় নেই। বাইক বাহিনীর দাপট থামিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হলে মানিক সাহার হার নিশ্চিত, এমনটাই গুঞ্জন কিন্তু গোটা ত্রিপুরা জুড়ে।
অন্যদিকে, ২০ তারিখ ফের ত্রিপুরায় ঝড় তুলতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবার সুরমা ও যুবরাজ নগরে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করবেন তিনি। বড়দোয়ালি ও আগরতলায় অভিষেকের ঐতিহাসিক রোড-শো এবং ক্ষুরধার বক্তৃতার পর গোটা ত্রিপুরা জুড়ে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতি সরগরম। সুরমা ও যুবরাজ নগরে শুধু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা নন, সাধারণ মানুষ অভিষেকের বার্তার অপেক্ষায় রয়েছেন। ত্রিপুরা উপনির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় অভিষেক প্রচারে আসার আগে তুমুল উন্মাদনা শুরু হয়েছে। অভিষেকের আগমনী বার্তা পেয়ে সাজসাজ রব সুরমা, যুবরাজ নগর-সহ গোটা ত্রিপুরা জুড়ে।



















































































































































