পরিস্থিতি আরও খারাপ, নয়া রেকর্ড গড়ল পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার

0
2

মোদি জমানায় দেশের অর্থনীতি(Economy) ক্রমাগত পতনের দিকে এগিয়ে চলেছে। একইসঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির(Price Hike) হার। পরিস্থিতির জেরে নাকাল দেশের সাধারণ মানুষ। এরইমাঝে উদ্বেগ বাড়িয়ে মে মাসে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি(wholesale inflation) পৌঁছল ১৫.৮৮ শতাংশে। যা এক নয়া রেকর্ড। ফলে বলার অপেক্ষা রাখে না, এর জেরে আরও সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছেন সাধারণ মানুষ।

জ্বালানী থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পর গত এপ্রিল মাসে যে রিপোর্ট আসে তাতে দেখা যায় মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছেছিল ১৫.০৮ শতাংশে। এবার সেই অঙ্কও পেরিয়ে গেল। গত বছর মে মাসে এই হার ছিল ১৩.১১ শতাংশ। ১ বছরের মধ্যে সেই হার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। শুধু তাই নয়, ২০১২ সাল থেকে ধরলে এটাই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির সর্বোচ্চ হার। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুদ্রাস্ফীতির যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে লাগাতার ১৪ মাস ‘হোলসেল প্রাইস ইন্ডেক্স’ বা পাইকারী মুদ্রাস্ফীতির সূচক রয়েছে দুই অঙ্কে, যা ভারতের মতো অর্থনীতির জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে পেশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খাদ্যসামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতির দাম বাড়ার ফলেই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সূচক ঊর্ধ্বমুখী। তবে শুধু পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি নয়, দেশে খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতিও চরম আকার নিয়েছে দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার বর্তমানে (Retail inflation) পৌঁছেছে ৭.০৪ শতাংশে। এপ্রিলে এটা ছিল ৬.৯৫ শতাংশ। মার্চ মাসে ছিল ৬.০৭ শতাংশ।