পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ (Pervez Musharraf) গুরুতর অসুস্থ। গত তিন সপ্তাহ তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, মুশারফ চাইলে দেশে ফিরতে পারেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, জেনারেল মুশারফের এমন শারীরিক অবস্থায় তাঁর দেশে ফিরতে কোনও বাধা থাকা উচিত নয়। আগের ঘটনাবলির কারণে এতে কোনও বাধা থাকার কথা নয়। আল্লাহ তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন। এবং তিনি জীবনের শেষ সময়টা গরিমার সঙ্গে এখানে কাটান।”
গত শুক্রবার মুশারফের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। মুশারফের মৃত্যুর ভুয়ো খবর সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে তাঁর পরিবার দাবি করে, মুশারফকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়নি। কিন্তু গত ৩ সপ্তাহ ধরেই দুবাইয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুশারফ। ২০১৮ সালে প্রথমবার মুশারফের অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, বিরল অ্যামাইলয়েডিওসিসে ভুগছেন মুশারফ।
১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেছিলেন পাক সেনার তৎকালীন প্রধান মুশারফ। ২০০৮ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। ২০০৭ সালে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপ ও বেআইনিভাবে জরুরি অবস্থা লাগু করা নিয়ে ২০১৩ সালে মুশারফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নওয়াজ শরিফ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও পরে সেই সাজা মাফ করে দেওয়া হয়।এই পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালে দেশ ছাড়েন প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধান।
এখন প্রশ্ন, জীবনের শেষ দিনগুলো মুশারফ কি আদৌ দেশে কাটাবেন ?












































































































































