রবিবার কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার ( South Africa) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ( 2nd T-20) ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত (India)। রবিবার ম্যাচ জিতে সিরিজ সমতায় আনতে মরিয়া ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) দল। বরাবটিতে খেলা হলে মহানদীর দিক থেকে যে হাওয়াটা আসে, সেটা সিমারদের বাড়তি সুবিধা দেয়। দিল্লিতে বিয়াল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ভুবনেশ্বর কুমার, হর্ষল প্যাটেল এবং আভেশ খান এই সুবিধা পাননি। এখন মহানদীর হাওয়া তাঁদের কপাল ফেরাতে পারে কি না সেটাই দেখার।

সিমারদের মতোই বেশ চাপে আছেন ভারতের অ্যাক্সিডেন্টাল ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থও। কে এল রাহুল চোটে ছিটকে যাওয়ায় দায়িত্ব এসেছে ঋষভের কাঁধে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে দুশোর বেশি রান তুলেও তাঁর দল হেরেছে। আর তার থেকেও বড় কথা হল, অধিনায়ক ঋষভ মাঠে মগজাস্ত্রের কোনও ছাপই রাখতে পারেননি। এমনকী যুজবেন্দ্র চাহালের মতো ম্যাচ উইনারকে স্রেফ ২.১ ওভার বল করিয়ে জাহির খানের মতো প্রাক্তনের তোপের মুখে পড়েছেন। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য পাননি ঋষভ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই সিরিজেও ব্যর্থ হলে ভাবী অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক পাণ্ডিয়ার কাছে অনেক পিছিয়ে পড়বেন। আইপিএল জেতা হার্দিককে সাদা বলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক বলা হচ্ছে।
অনেকদিন বাদে ক্রিকেট হচ্ছে রুপোলি শহরে। ফলে রবিবার ফুল হাউস দেখবে কটক। বিরাট, রোহিত, বুমরাদের মতো তারকারা বিশ্রামে থাকলেও সেটা এই শহরের ক্রিকেট উন্মাদনা দেখে বোঝা যাচ্ছে না। টিকিটের হাহাকার সর্বত্র। উপচে পড়া গ্যালারি ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। দিল্লিতে চারশোর উপর রান উঠেছে। এখানেও হাই স্কোরিং ম্যাচ হবে বলে কিউরেটর জানিয়েছেন। তবে রাতের দিকে শিশির একটা বড় সমস্যা কটকে। ফলে টস বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। আগের ম্যাচে ভারত আগে ব্যাট করে ২১২ রান তুলেও হেরে গিয়েছে মিলার ও ডুসেনের কাছে। রবিবারের ম্যাচে চাহালের উপর অনেক দায়িত্ব থাকবে। চোটের জন্য কুলদীপ যাদব সিরিজের বাইরে চলে গিয়েছেন। কটকে সমতায় না ফিরলে ভারত আরও পিছিয়ে পড়বে। তবে সমতায় ফিরতে ঋষভের বাজি হার্দিক। আইপিএলে রান করার পর আগের ম্যাচেও তিনি ১২ বলে ৩১ নট আউট থেকে ভারতকে দুশো পার করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বল হাতে হার্দিক কিছু করতে পারেননি। মাত্র একটাই ওভার বল করে তিনি দেন ১৮ রান। এই ম্যাচে তিনি কী করেন, সেদিকে নজর থাকবে নির্বাচকদের। উমরান মালিককে প্রথম ম্যাচে না দেখে অনেকে অবাক হয়েছেন। বাইরে ছিলেন অর্শদীপ সিংও। বরাবটিতে উমরান যদি প্রথম এগারোয় চলে আসেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এদিকে, সদ্য আইপিএলে খেলে যাওয়ার পুরো সুবিধা ভোগ করছেন মিলাররা। মিলার নিজে আইপিএলে ৪৮১ রান করেছিলেন। সেই ফর্মই যেন সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। তেম্বা বাভুমার এই দলে কুইন্টন ডি’ককের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন। আছেন বাভুমা, ডুসেনও। প্রথম ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও রাবাদা, নর্তজেরা যে কোনও সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। দিল্লিতে দুশো পার করেও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সামনে চ্যালেঞ্জ তাই থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:Indian Football: শেষ মুহূর্তে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় ভারতের


















































































































































