প্রতারণার অভিযোগে নিজের বাগদত্তাকে গ্রেফতার করে দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন অসম পুলিশের ‘লেডি সিংঘম’ জুনমণি রাভা। রাতারাতি উঠে এসেছিলেন সংবাদ শিরোনামে। এবার হবু স্বামীর সঙ্গে জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে জুনমণিকেই যেতে হল শ্রীঘরে!

পুলিশি তদন্তের সময় দুই ঠিকাদার অভিযোগ করেন, তাঁরা জুনমণির বাগদত্তা রানা পোগাগের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করেছিলেন। জুনমণির মাধ্যমেই তাঁদের সঙ্গে রানার যোগাযোগ। রানা তাঁদের যে বিপুল টাকা নিয়ে জালিয়াতি করেন, সেটা জুনমণি জানতেন। জুনমণি এই জালিয়াতির ঘটনায় সমান অংশীদার। জুনমণির হয়েই তাঁর হবু বর ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। ‘লেডি সিংঘম’ নিজে বাঁচতে তাঁর বাগদত্তাকে গ্রেফতারের নাটক করেছেন।

এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তকারী পুলিশ অধিকারিকরা জুনমণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে।টানা দু’দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর জেরায় অসঙ্গতি মেলার পর অসমের নগাঁও জেলার সাব-ইনস্পেক্টর জুনমণিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারকরা। মাজুলি জেলে রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ওএনজিসিতে চাকরি দেওয়ার নামে বেশকয়েক জনের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগে গত ৫ মে নিজের হবু বর রানাকে গ্রেফতার করেন জুনমণি। মাজুলিতে থাকার সময়ই জুনমণির সঙ্গে পরিচয় রানার। সেখান থেকে প্রেম। তারপর গত বছর অক্টোবরে ধুমধাম করে তাঁদের বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। রানা নিজেকে ওএনজিসির জনসংযোগ বিভাগের কর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এর পর নগাঁওতে বদলি হয়ে রানার জালিয়াতির কথা জানতে পারেন বলে জুনমণি দাবি করেছিলেন। রানার ব্যাগ থেকে ওএনজিসির ভুয়ো সিল ও নথিপত্র পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন জুনমণি। রানা বর্তমানে মাজুলি জেলে। রানাকে গ্রেফতার করে গোটা অসম জুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন জুনমণি। মানুষ তাঁকে ‘লেডি সিংঘম’ বলে ডাকতে শুরু করে। এবার তাঁকেই জালিয়াতি ও তোলাবাজির অভিযোগে যেতে হল শ্রীঘরে!
আরও পড়ুন:দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি অভিযান

















































































































































