গতকাল মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠান পারফর্ম করার পর হোটেলে ফিরেই মৃত্যু হয় প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীনই প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। এরপরই মধ্য কলকাতার হোটেলে ফিরে প্রথমে বমি করেন এবং তারপর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন শিল্পী। তিনি পড়ে যান। তাঁর কপাল ও ঠোঁট থেকে রক্ত ঝড়তে থাকে। তড়িঘড়ি একবালপুরের CMRI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। কেকে-র ম্যানেজার হিতেশ ভাট জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চ থেকে বের হওয়ার সময়ই গাড়িতে অসুস্থ বোধ করেন শিল্পী। ঠান্ডা লাগছিল বলে গাড়ির এসি বন্ধ করতেও বলেন কেকে। এরপর হোটেলে গিয়েই ঘটে যায় চরম পরিণতি।

মাত্র ৫৩ বছর বয়সী কেকে-এর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়। কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক টিম হোটেলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।
কেকে-এর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় SSKM হাসপাতালে।ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। বাহ্যিক কোনও আঘাতের চিহ্ন তাঁর শরীরে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, কোনও “ফাউল প্লে” হয়নি বলেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান হার্ট আট্যাকেই মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় গায়কের।
প্রসঙ্গত, কেকে-এর মৃত্যুকে ঘিরে উঠে আসছে অনেক প্রশ্ন। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ। অনুষ্ঠানের পর কেকে গ্র্যান্ড হোটেলের ৪২৮ নম্বর রুমেই ছিলেন তিনি। কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক টিমের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা রুম। চলছে নমুনা সংগ্রহ। হোটেলের ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কেকে-এর ম্যানেজার হিতেশ ভাটের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।













































































































































