ভয়াবহ বালিঝড়ে (Sand Strom)বিপর্যস্ত আরব। এক হাত দূরের জিনিসও অস্পষ্ট। আকাশ বাতাসে ভাসমান বালি। সেই ভীষণ ধুলোর ঝড়ে আক্রান্ত সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধের(Riyadh)কয়েক হাজার মানুষ। বুধবার অসুস্থ অবস্থায় শ্বাসকষ্ট(Breathing Trouble)নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অন্তত ১২৮৫ জন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ।

আজ রিয়াধ কিছুটা সচল হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। কয়েকশো মিটার দূর থেকেও গগনচুম্বি বাড়িগুলো খালি চোখে দেখা যাচ্ছে না। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। ওই দেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ব থেকে এই বালির ঝড় ক্রমে ধেয়ে এসেছে পশ্চিমের দিকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে হয়তো পুরু ধূসর বালিরস্তরে ঢেকে যাবে মক্কা, মদিনাকেও।

এপ্রিল থেকে অন্তত আটটি বালিঝড় হয়েছে ইরাকে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান ভূমিক্ষয়, প্রবল খরা, কম বৃষ্টিপাত,নদীর জলস্তর কমে যাওয়া এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। বাগদাদে শেষ বালির ঝড়ে সোমবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে অন্তত ৪ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। স্কুল-কলেজ-অফিস, বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হয়। ইরানেও একই পরিস্থিতি। গত কাল তারা ঘোষণা করেছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য সরকারি কার্যালয় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। স্কুলগুলিও বন্ধ করা হয়েছে। তেহরান, কুয়েত সর্বত্র একই ছবি। আজ থেকে কিছুটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি।






























































































































