ত্রিপুরার(Tripura) পর এবার হিমাচল প্রদেশ(Himachal Pradesh)। গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদলের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের(Jayram Thakur) দাবি, এখনই কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন। যদিও হিমাচল প্রদেশে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের একটি বৃহৎ অংশ দাবি তুলেছে, অনুরাগ ঠাকুরকে(Anurag Thakur) মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে হবে। তাহলে বিজেপির (BJP)শক্তি বাড়বে। অন্যথায় এই সরকার আর ফিরবে না।
হিমাচলে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে লাগাতার ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। পুরসভা থেকে লোকসভার উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। অথচ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda)রাজ্য এই হিমাচল প্রদেশ। যিনি নিজের রাজ্য সামলাতে পারেন না, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সেই জায়গা থেকে জেপি নাড্ডা বনাম অনুরাগ অনুগামীরা কার্যত দুই শিবিরে আড়াআড়ি বিভক্ত। আবার ২০২১ সালের রদবদলে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী পদে অনুরাগকে নিয়ে এসে নরেন্দ্র মোদি সাফ বুঝিয়েছেন যে, তিনি এখন দলে নতুন নক্ষত্র। ফলে জয়রাম ঠাকুরের চাপ বাড়ছেই।
অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহের সুযোগ নিয়ে সেখানে জাঁকিয়ে বসতে চাইছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
আম আদমি পার্টি। পাশের রাজ্য পাঞ্জাব জয়ের পর কেজরিওয়ালের দলের শক্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে হিমাচলেও। বিজেপি থেকে দলে দলে নেতাকর্মী যোগ দিচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ায় ত্রিপুরার পর এবার হিমাচলেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পরিবর্তন করতে পারে বিজেপি। জয়রামকে সরিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে অনুরাগ ঠাকুরকে।

















































































































































