তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল, সীমাহীন দুর্নীতি, অনুন্নয়ন, বেকারত্ব। ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে ত্রিপুরা। তার সঙ্গে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের উপর দমন পীড়নে ক্ষোভ বেড়েই যাচ্ছিল। ২০২৩শের কথা মাথায় রেখে কার্যত বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দিল বিজেপি। আশা, সামাল দেবে নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রবিবার রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন তিনি। তবে তাঁর শপথগ্রহণে অনুপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন। মানিক শপথ নেওয়ার পর যদিও সৌজন্য দেখাতে রাজভবনে যান তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণে তাঁর ডেপুটির গরহাজিরা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, মানিককে মুখ্যমন্ত্রী করায় দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। তারই ফলশ্রুতি ঘটেছে।



আরও পড়ুন:Andrew Symonds: ক্রিকেট জীবনে জড়িয়েছেন একাধিকবার বিতর্কে, একনজরে সাইমন্ডসের নানা বিতর্ক


শুধু জিষ্ণু দেব নন, এ দিন মানিকের শপথগ্রহণে গরহাজির ছিলেন অন্য বিক্ষুব্ধ বিধায়ক তথা রাজ্যের অপর মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান আগেই বয়কট করেন বিক্ষুব্ধরা। বামেরাও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে। রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের রাজনীতি চালানোর অভিযোগে অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বাম প্রতিনিধিরা। অর্থ্যাৎ বলাই যায়, মুখ্যমন্ত্রী বদল করলেও ত্রিপুরা বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূর করা গেল না৷ বরং মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পরই রাজ্যের এক মন্ত্রীর বিক্ষোভে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বকে৷




আজ যখন ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মানিক সাহা, সেই সময় নিজের ট্যুইটার বায়ো থেকে নিজের উপমুখ্যমন্ত্রী পরিচয়ই সরিয়ে দিলেন। শুধু রাখলেন বিধায়ক পরিচয়।মানিকের নাম ঘোষণা হতেই বিজেপি-র পরিষদীয় দলের বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল৷ রামপ্রসাদ বরাবরই মানিক সাহা বিরোধী গোষ্ঠীর বলে পরিচিত৷ জিষ্ণু দেব বর্মার সঙ্গেও নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মানতে পারছেন না তিনিও বলে খবর।

Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.





























































































































