যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি অনুচিৎ। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। কাশীপুরের বিজেপি যুবমোর্চা নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু প্রসঙ্গে শুক্রবার এ কথা বলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির একজন বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে তাকে দেখা যেত। কীভাবে মৃত্যু হল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। মৃত্যু হলেই সেটা রাজনৈতিক মৃত্যু ? সেটা কী করে হয়? তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে সকাল থেকে মৃতদেহ ঘিরে বিজেপির বহিরাগতরা ওই এলাকায় ঢুকে যা করেছে তাতে সেখানে হাতের ছাপ থেকে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট থেকে অনেক কিছু হতে পারে। কুণাল এদিন বলেন, বিজেপির বড় নেতা এখানে এসেছেন। তাঁর কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাকে বলি দিয়ে নেতার নাটকের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে কী না কে বলবে। যদি তিনি এদিন সত্যিই কাশীপুরে যান তাহলে আশা করব সেখান থেকে বেরিয়ে দমদম থেকে বিমান ধরে উত্তর প্রদেশে গিয়ে সেখানে যেসব পরিবারে ধর্ষণ, খুন হচ্ছে তাদের কাছে যান। সেখানে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার ।
সকাল থেকে বাইরের থেকে লোক নিয়ে এসে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আত্মহত্যা না হত্যা, তদন্ত হোক। বিজেপির হাতে এই মুহূর্তে আর কোনো ইস্যু নেই। তাই এই অপচেষ্টা বলে ফাবি করেন কুণাল। তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, অমিত শাহর উত্তরবঙ্গের সভা ফ্লপ। এখানে কে আগে অমিত শাহ-র পাশে বসবেন, কে তাঁকে উত্তরীয় পড়াবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। উনি নিজেও বুঝতে পারছেন এই অপদার্থগুলোকে দিয়ে হবে না। মৃত্যু নিয়ে কোনও দায়িত্বহীন মন্তব্য করা উচিত নয়। অমিত শাহকে দেখাতে নিজেদের অস্তিত্ব বোঝাতে এসব করা হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এ কথা বলছি।
কুণাল বলেন, নির্বাচনের এক বছর পরে অমিত শাহ বাংলায় এলেন। বিজেপির শীর্ষ নেতারা অতীত থেকে কোনো শিক্ষাই নেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয় বিজেপির নেতা হিসেবে সংকীর্ণ রাজনীতি করতে বাংলায় এসেছেন অমিত শাহ। ঘটনাস্থলে যে ভাবে বাইরের লোক গিয়েছে সেখানে ফরেনসিক গিয়ে করবে টা কী? তার কীভাবে নিজেদের কাজ করবে? বড় নেতার জন্য নাটকের মঞ্চ প্রস্তুত করতে গিয়ে মৃতদেহের প্রয়োজন। তাই এটা করা হলো কী? এ প্রশ্ন উঠবেই।
কুণাল বললেন, মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে পুলিশ তার কাজ তো করবেই। পুলিশকে ওখানে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। শুনেছি হাইকোর্টে গেছে। কোর্ট যা বলবে হবে। অনেক তদন্ত অনেকের কাছে গেছে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হারিয়া যাওয়া নোবেল তো আর পাওয়া গেল না। এরা দেখল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন বারের সরকারের বর্ষপূর্তি। বিজেপির ভিত নড়ে গিয়েছে। তাই নির্দিষ্ট চিত্রনাট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এটা সুপরিকল্পিত ঘটনা। বিজেপি নিজেদের ইস্যু তৈরি করতে গিয়ে এটা ঘটানো হয়েছে কী না তা দেখতে হবে। দিল্লির নেতার সফরেরর সময় এই নাটক কোথা থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তা দেখা দরকার।
কুণাল ঘোষ এদিন আরো বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলা ভাগের ডাক দেওয়া হলে তাহলে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। পাহাড় থেকে বিজেপি মুছে যাচ্ছে। অমিত শাহজি, যদি আপনাদের হিম্মত থাকত তাহলে একবছর আগে নির্বাচনী প্রচারে কেন বলেননি ভোট দিন বাংলা ভাগ করব। অমিত শাহজি আপনি দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কিন্তু দিল্লির নেতারা কোনও শিক্ষা নেননি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ কাজে লাগিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি করছেন।