আড়াই বছর জেল হল প্রাক্তন টেনিস তারকা বরিস বেকারের (Boris Becker) । সম্পত্তি গোপন এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। মোট চারটি অভিযোগ রয়েছে বেকারের বিরুদ্ধে। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল শুক্রবার। শুক্রবার লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।

টেনিস বিশ্ব আদর করে নাম দিয়েছিল বুমবুম বেকার। উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে যেমন গতিতে সার্ভ করেছেন, তেমনই গোটা কোর্টে ঝাঁপিয়ে পড়ে অবিশ্বাস্য সব রিটার্ন-ভলি মেরেছেন। কিন্তু একদা টেনিস হিরোর রকেট উত্থানের মতোই পতনেরও সাক্ষী থাকলেন তাঁর ফ্যানেরা। ২০১৭ সালের জুন মাসে দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর সম্পত্তি লুকোনোর দায়ে শুক্রবার লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালতে আড়াই বছরের জেল হল বরিস বেকারের।

ছ’টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী বেকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেউলিয়া হওয়ার পর দুটি উইম্বলডন ট্রফিসহ কয়েক মিলিয়ন সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক লোনের কথা তিনি গোপন করেছিলেন। সম্পত্তি অন্যত্র সরিয়েছেন। তবে প্রাক্তন টেনিস তারকার দাবি ছিল, প্রথম স্ত্রী বারবারা বেকারের সঙ্গে ডিভোর্স ও যৌথভাবে সন্তান রক্ষণাবেক্ষণে তাঁর অনেক অর্থ খরচ হয়েছিল। এর আগে ২০০২-এ জার্মানিতে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এতে সাজাও হয়েছিল তাঁর।
১৯৮৫ সালে ১৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে উইম্বলডন জিতেছিলেন জার্মানির এই অবাছাই টিনএজার। প্রথম বছরেই টেনিস দুনিয়ার মন জয় করে নিয়েছিলেন সোনালি চুলের স্বপ্নের নায়ক। জনতার ডার্লিং হয়ে উঠেছিলেন প্রথম দর্শনেই।
এপ্রিলের শুরুতে আদালতে চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বেকার। এদিন তিনি পার্টনার লিলিয়ান ডি কার্ভালহো মন্টেইরোকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে আসেন। যিনি বেকারের আইনি দিকও সামলেছেন। বেকার এদিন স্যুটের সঙ্গে পরেছিলেন উইম্বলডনের মেরুন-বেগুনি টাই। আদালতে ঢোকার মুখে ম্রিয়মান ও ক্লান্ত দেখিয়েছে ৫৪ বছরের তারকাকে। বেকার অবশ্য এই মামলায় আগাগোড়া দাবি করে এসেছেন, তিনি ট্রাস্টিদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতোই পদক্ষেপ করেছেন।
আরও পড়ুন:Sunil Narine: দিল্লির বিরুদ্ধে খেলতে নেমে অনন্য নজির গড়লেন সুনীল নারীন












































































































































