শান্তিনিকেতনের পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অসীম দাসের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এবার হোস্টেলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলেন সিআইডির ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিনিকেতনের উত্তর শিক্ষাসদন লাগোয়া উত্তরণ হোস্টেলে আসে ফরেন্সিক টিম। ছিল শান্তিনিকেতন থানার পুলিসও।
গত ২১ এপ্রিল পাঠভবনের উত্তরণ হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু খুন না কী আত্মহত্যা, তা নিয়ে। শুরু হয় জোরচর্চা।
যদিও ঘটনার পর থেকেই শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিশ হোস্টেলের পড়ুয়া ও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পারিপার্শ্বিক তথ্যও সংগ্রহ করেন।
উল্লেখ্য, মৃতে ছাত্রের বাবা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনে দাবি করেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না। খুন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে,শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করে ছাত্রের পরিবার। মৃত্যুর সত্য উদ্ঘাটনে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তাঁরা। এখানেই শেষ নয়। উপাচার্য এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও তোলেন মৃত ছাত্রের বাবা।